নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার সংস্কারের নামে এক বছর নষ্ট করেছে, যা শুধু কাগজে কলমেই রয়ে গেছে।

ফলে এ এক বছরে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে গেছে। তাই অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আরও বলেন, "নির্বাচন নিয়ে যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন বাংলাদেশের মানুষ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে জানে। মানুষ সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অবশ্যই নিশ্চিত করবে।"

তিনি বলেন, "গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আত্মত্যাগ করেছে। জনগণ বিএনপির পাশে দাঁড়িয়ে সেই আত্মত্যাগকে স্মরণ করছে। আজকের এ সভাই প্রমাণ করে, জনমানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয় তখন ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে না। বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিবাদের জায়গা হবে না।"

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো.

নজরুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, অকিল উদ্দিন ভুঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য ইমাম হোসেন বাদল, থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন খোকন, থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা মো. শাখাওয়াত হোসেন, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মাস্টার, মহানগর যুবদলের সদস্য মো. জুয়েল রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সিদ্ধিরগঞ্জ থানা লুৎফুর রহমান রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, ওম মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বিজয়সহ বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।

লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা