পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
Published: 27th, September 2025 GMT
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা দেশে ২ হাজার ৮৫৭টি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৩০ প্লাটুন সদস্য কাজ করছেন। সীমান্তবর্তী এলাকা এবং রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এই নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা সহযোগিতায় মনিটরিং টিম করবে এনসিপি
রাজশাহীতে মৃৎশিল্পীদের রং-তুলির ছোঁয়ায় প্রাণ পাচ্ছে প্রতিমা
বিজিবি সদর দপ্তর থেকে আরো জানানো হয়, সীমান্তবর্তী এলাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির ২৪টি বেজ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। উৎসব চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করছেন তারা।
বিজিবির নিরাপত্তাধীন মোট ২,৮৫৭টি পূজামণ্ডপের মধ্যে সীমান্তবর্তী (সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে এবং পার্বত্য এলাকার ১৫টি পূজামণ্ডপসহ) এলাকায় ১,৪১১টি এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাইরে রয়েছে ১,৪৪৬টি পূজামণ্ডপ।
রাজধানী ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ৪৪১টি। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় ৬৯৪টি এবং অন্যান্য স্থানে ৩১১টি পূজামণ্ডপ রয়েছে।
পূজা উপলক্ষে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারি শক্তিশালী করার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিজিবি জানায়, বিজিবি সবসময় জাতীয় শান্তি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে বিজিবি সারাদেশে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।
ঢাকা/এমআর/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ন তবর ত
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: গোপালগঞ্জে মিছিল, সড়ক অবরোধের চেষ্টা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১৫ জন মিছিল বের করেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে চারটার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শেখ রাসেল শিশু পার্কের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
এর আগে দুপুরে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রায় ঘোষণা করার পর গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শেখ রাসেল শিশু পার্কের সামনে ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১৫ জন বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা মুঠোফোনে সেই বিক্ষোভের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়ে সরে পড়েন।
এদিকে ঢাকা–খুলনা সড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়ায় পেট্রল দিয়ে পাটখড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে কয়েক দফা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, দু–একটি ঘটনা ছাড়া গোপালগঞ্জে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল অব্যাহত আছে।
এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান বলেন, একটি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রের সাবেক নির্বাহী প্রধানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন, তা সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জন্য একটি বার্তা।
উদীচী গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যেসব নিরীহ নাগরিক, ছাত্র ও যুবকদের হত্যা ও আহত করা হয়েছে, এ রায়ের মধ্য দিয়ে একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেছেন, যে–ই অপরাধ করুক না কেন, তাঁর একটা বিচার বা শাস্তি হয়। আদালত যথানিয়মে মামলায় সব প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করে রায় দিয়েছেন। নাগরিক হিসেবে এটাকে মেনে নিতে হয়।