কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে অনলাইন কোর্স, নেই বয়সের সীমা
Published: 30th, September 2025 GMT
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৫ সালের জন্য বিনা মূল্যের অনলাইন কোর্স শুরু করতে যাচ্ছে। ঘরে বসে দক্ষতা বাড়ানো এবং জ্ঞানার্জনের সুযোগ দিতে এই কোর্সগুলো বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত।
এই অনলাইন কোর্সগুলো edX প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। কোর্সগুলো মূলত দুটি অপশনে অফার করা হবে—
১.
২. সার্টিফিকেট কোর্স: যাঁরা কোর্স শেষে স্বীকৃত সনদ পেতে চান, তাঁদের জন্য একটি সামান্য ফি প্রদান করতে হবে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অনলাইন কোর্সে প্রাথমিক ও মধ্যবর্তী স্তরের বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অধিকাংশ সূচনামূলক কোর্সে কোনো পূর্বশর্ত বা পূর্ববর্তী শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে না। তবে কিছু ইন্টারমিডিয়েট কোর্সে পূর্বাভিজ্ঞতা প্রয়োজন হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংবিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কেমব্রিজের অবস্থান এখন পঞ্চম। এখানে বর্তমানে ১০০টির বেশি দেশের ১৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন এবং ২ লাখের বেশি অ্যালামনাই রয়েছে। এই অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বসেরা শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখতে পারবেন এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবেন।
আবেদনের যোগ্যতা–বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
-আবেদন করার জন্য কোনো বয়সসীমা নেই।
-অধিকাংশ প্রাথমিক কোর্সে কোনো পূর্বশর্ত নেই, তবে মধ্যবর্তী স্তরের কিছু কোর্সে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হতে পারে।
-সার্টিফিকেট পেতে হলে নির্ধারিত ফি দিতে হবে।
আরও পড়ুনইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীদের আয় কেন ৬৮% পর্যন্ত বেশি২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫কোর্স শেষে কেউ সার্টিফিকেট পেতে চাইলে নির্ধারিত ফি দিতে হবেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ