বন্দরে গাঁজাসহ কুমিল্লার ২ নারী মাদক কারবারি বন্দরে গ্রেপ্তার
Published: 13th, October 2025 GMT
বন্দরে ২ কেঁজি গাঁজাসহ কুমিল্লার ২ নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ।
ধৃতরা হলো সুদূর কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার শুভপুর এলাকার মৃত মনির আহম্মেদ মিয়ার মেয়ে মায়া বেগম (৪২) ও একই এলাকার মৃত আবু সামা মিয়ার মেয়ে আসমা বেগম (৩৩)। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের সহকারি উপ পরিদর্শক রেজাউল করিম বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ২৬(১০)২৫।
গ্রেপ্তারকৃতদের উল্লেখিত মাদক মামলায় সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাশার পেপার মিলের সামনে যাত্রীবাহী এশিয়া এয়ারকন পরিবহনে তল্লাশী চালিয়ে উল্লেখিত গাঁজাসহ ওই দুই নারী মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ধৃত নারী মাদক কারবারিরা দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অবাধে মাদক বিক্রি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ উল্লেখিত যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২ কেঁজী গাঁজাসহ ওই নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মাদাগাস্কারে বিক্ষোভের মুখে গোপনে দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট
মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়েছেন। ফ্রান্সের সম্প্রচারমাধ্যম রেডিও আরএফআই আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে এক গোপন চুক্তি করেন রাজোয়েলিনা। এরপর একটি ফরাসি সামরিক বিমানে করে তাঁকে দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট দেশত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন মাদাগাস্কারের পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি রান্দ্রিয়ানাসোলোনিয়াইকোও। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর রোববার প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়েছেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিদ্যুৎ ও পানির সংকটকে কেন্দ্র করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মাদাগাস্কারে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছিল। এর মধ্যেই রোববার বিদ্রোহী একটি সেনা ইউনিটের পক্ষ থেকে মাদাগাস্কারের পুরো সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পর থেকে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা মূলত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের মধ্যে রাজোয়েলিনার জন্য আরও একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছিল দেশটির বিরোধী দল। সোমবার বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি র্যানদ্রিয়ানাসোলোনিয়াইকে রয়টার্সকে জানান, মাদাগাস্কারের জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় সদস্যরা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনপ্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছেন।
অভ্যুত্থানের বিষয়ে সতর্ক করেন রাজোয়েলিনা
রাজোয়েলিনা রোববার ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চলছে। মাদাগাস্কারের যে বিদ্রোহী সেনা ইউনিট সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, সেটি ক্যাপস্যাট নামে পরিচিত। সেনাবাহিনীর অভিজাত এই ইউনিটটি ২০০৯ সালের অভ্যুত্থানে তাঁকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করেছিল।
এদিকে সোমবার প্রেসিডেন্টের পালানোর খবর পাওয়ার আগে মাদাগাস্কারের রাজধানী আন্তানানারিভোর একটি চত্বরে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। তাঁরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানান। হোটেল কর্মী এড্রিয়ানারিভনি ফানোমেগানৎসো (২২) বলেন, তাঁর মাসিক বেতনের পুরোটাই খাবারের খরচের পেছনে ব্যয় হয়। এ কারণেই তিনি বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সরকার নিজেদের উন্নতি ছাড়া আর কিছু করেনি। মানুষজন গরিবই থেকে গেছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী তরুণ প্রজন্ম, জেন-জিরা।