ঢাকা রিজেন্সিতে চলছে ১০ দিনের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন
Published: 15th, October 2025 GMT
দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’। বাংলাদেশি খাবারের বৈচিত্র্য ও হারিয়ে যাওয়া নানা পদ শহুরে নাগরিকের কাছে নতুন করে তুলে ধরতেই এই আয়োজন। উৎসবটি শুরু হলো আজ ১৫ অক্টোবর, চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজনটির বিস্তারিত তুলে ধরে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।
এই আয়োজনে খাওয়াদাওয়া করা যাবে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। অতিথিরা এ সময় উপভোগ করতে পারবেন ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারের স্বাদ। খরচ হবে জনপ্রতি ৫ হাজার ৫৫৫ টাকা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডায়াবেটিক রোগীদের আঙুলে সুচ ঢুকিয়ে রক্ত পরীক্ষার দিন শেষ হচ্ছে
রক্তের শর্করা মাপার জন্য ডায়াবেটিক রোগীদের অনেকেই নিয়মিত আঙুলে সুচ ঢুকিয়ে রক্ত পরীক্ষা করেন। বিষয়টি কষ্টকর হলেও ডায়াবেটিসের প্রকোপ এবং এর জটিলতা মোকাবিলায় রক্তের শর্করা পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানীরা আলোর তরঙ্গ কাজে লাগিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন। সেন্সরযুক্ত যন্ত্রটির ওপর হাত রাখলেই রক্তের শর্করার মাত্রা জানা যাবে। ফলে আঙুলে সুচ ঢুকিয়ে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে না ডায়াবেটিক রোগীদের। নতুন এই যন্ত্রের তথ্য অ্যানালিটিক্যাল কেমিস্ট্রি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন যন্ত্রটির বিষয়ে এমআইটির বিজ্ঞানী জেওন উওং ক্যাং জানান, কেউই চায় না প্রতিদিন একাধিকবার নিজের আঙুলে সুচ ফোটাতে। এটি বেশ অস্বস্তির বিষয়। অনেকেই চিকিৎসকের সুপারিশের চেয়ে কম ঘন ঘন পরীক্ষা করেন, এতে গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে। নতুন আলোভিত্তিক বিকল্প সমাধান ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের গবেষণার ফসল। ২০১০ সালে এমআইটির লেজার বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের প্রকৌশলীরা প্রথম দেখান, রামান স্পেকট্রোস্কোপি ব্যবহার করে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করা যেতে পারে। এই কৌশলে বিভিন্ন অণু কীভাবে আলোকে বিচ্ছুরিত করে তার ভিত্তিতে শনাক্ত করা হয়। ত্বকের ওপর কাছাকাছি-ইনফ্রারেড ও দৃশ্যমান আলো ফেলে রামান সংকেত বিশ্লেষণ করা হয়। ফলে তরলে গ্লুকোজ শনাক্ত করা যায়।
২০২০ সালে এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে অন্য একটি কোণ থেকে আসা কাছাকাছি-ইনফ্রারেড আলোর সঙ্গে রহমান আলোকে একত্র করার মাধ্যমে গ্লুকোজ সংকেতকে আলাদা করার পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়। এই পদ্ধতি অন্যান্য ত্বকের অণুর সংকেত ফিল্টার করতে সাহায্য করে। ফলে গ্লুকোজের তথ্য স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়।
আগে সংকেত ধারণের যন্ত্রটি আকারে প্রায় প্রিন্টারের সমান ছিল। দীর্ঘ গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা এখন যন্ত্রটির আকার কমিয়ে এনেছেন, যা প্রায় জুতার বাক্সের সমান। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী আরিয়ানা ব্রেসি বলেন, আমরা এখন মাত্র তিনটি সংকেতের ব্যান্ডের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি। যন্ত্রটির মাধ্যমে তথ্য জানতে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় প্রয়োজন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস