ভূমিকম্পে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে বড় ক্ষতি হতে পারে: জাহিদ
Published: 21st, November 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন,“প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় এবং জনপর্যায়ে অবিলম্বে প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজন। এখনই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশেষ করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পুরান ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে তুরস্ক, ইরান বা আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের মতো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটতে পারে।”
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নিয়ে কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত, ক্ষয়ক্ষতি নেই
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে দুজন নিহত, আহত ৬৭
এ সময় তিনি বলেন,“সম্প্রতি প্রায় ১৫ থেকে ২২ সেকেন্ড ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি বেশ শক্তিশালী ছিল এবং এর কেন্দ্র ঢাকা শহরের খুব কাছাকাছি। ধারণা করা হচ্ছে, ঘোড়াশাল বা মাধবদীর নিকটবর্তী। কেন্দ্রস্থল নিকটবর্তী হওয়ায় ঢাকায় এটি অত্যন্ত তীব্রভাবে অনুভূত হয়, পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও কম্পন ছড়িয়ে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও পশ্চিমবঙ্গসহ আশপাশের অঞ্চলে নিয়মিত ভূমিকম্প হচ্ছে, যা বড় ধরনের ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।”
জাহিদ হোসেন বলেন, “জিওলজিক্যাল সার্ভে, বিল্ডিং ডিজাইন ও প্ল্যানিং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সরকারের দ্রুত কাজ শুরু করার এটাই সঠিক সময়। দেরি হলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। দেশের সব সচেতন মানুষ, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অবিলম্বে ভূমিকম্প মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “সেই পুরনো আগুন সন্ত্রাসের কথা অনেকের মনে আছে, শেরাটন হেটোলের সামনে দ্বিতলা বিআরটিসি বাসে গানপাউডার দিয়ে ১১ জন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ১৭৪ দিন হরতাল করে। সেই সময়ে যারা করেছিল তারাই দেখেন আজকে বিচারের রায় হবে সেটার আগে এবং পরে বিভিন্নভাবে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা-উৎশৃঙ্খলা এবং সেই পুরনো আগুন সন্ত্রাসকে নিয়ে তারা আবার মাঠে নেমেছে।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “জাতি ৫ আগস্টের পরে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিল আজ যদি আমাদের মধ্যে বিভাজন হয় তাহলে লাভ হবে কাদের? লাভ হবে ওই পতিত বা পলায়নকৃত স্বৈরাচারের আর দোসররা লেগে আছে। ওই ফাঁক দিয়ে আমাদের ঐক্যের যদি বিনষ্ট করতে পারে, সেই ফাটল দিয়ে ঢুকে পড়তে চেষ্টা করবে পতিত স্বৈরাচার। স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু তাদের দোসররা কিন্তু আছে। মনে রাখতে হবে আপনার আমার আশেপাশের মানুষগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে তারা কি করছে? তারা কি আচরণ করছে?”
জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমিরের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব কে এম সোহেল রানা ও উত্তরের সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহর সঞ্চালনায় সভায় মৎস্যজীবী দলের সদস্য সাবেক সচিব আবদুর রহিম, দক্ষিণের আহ্বায়ক শাহ আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/রায়হান/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প ব এনপ ভ ম কম প র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্পে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে বড় ক্ষতি হতে পারে: জাহিদ
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন,“প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় এবং জনপর্যায়ে অবিলম্বে প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজন। এখনই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশেষ করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পুরান ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে তুরস্ক, ইরান বা আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের মতো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটতে পারে।”
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নিয়ে কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত, ক্ষয়ক্ষতি নেই
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে দুজন নিহত, আহত ৬৭
এ সময় তিনি বলেন,“সম্প্রতি প্রায় ১৫ থেকে ২২ সেকেন্ড ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি বেশ শক্তিশালী ছিল এবং এর কেন্দ্র ঢাকা শহরের খুব কাছাকাছি। ধারণা করা হচ্ছে, ঘোড়াশাল বা মাধবদীর নিকটবর্তী। কেন্দ্রস্থল নিকটবর্তী হওয়ায় ঢাকায় এটি অত্যন্ত তীব্রভাবে অনুভূত হয়, পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও কম্পন ছড়িয়ে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও পশ্চিমবঙ্গসহ আশপাশের অঞ্চলে নিয়মিত ভূমিকম্প হচ্ছে, যা বড় ধরনের ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।”
জাহিদ হোসেন বলেন, “জিওলজিক্যাল সার্ভে, বিল্ডিং ডিজাইন ও প্ল্যানিং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সরকারের দ্রুত কাজ শুরু করার এটাই সঠিক সময়। দেরি হলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। দেশের সব সচেতন মানুষ, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অবিলম্বে ভূমিকম্প মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “সেই পুরনো আগুন সন্ত্রাসের কথা অনেকের মনে আছে, শেরাটন হেটোলের সামনে দ্বিতলা বিআরটিসি বাসে গানপাউডার দিয়ে ১১ জন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ১৭৪ দিন হরতাল করে। সেই সময়ে যারা করেছিল তারাই দেখেন আজকে বিচারের রায় হবে সেটার আগে এবং পরে বিভিন্নভাবে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা-উৎশৃঙ্খলা এবং সেই পুরনো আগুন সন্ত্রাসকে নিয়ে তারা আবার মাঠে নেমেছে।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “জাতি ৫ আগস্টের পরে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিল আজ যদি আমাদের মধ্যে বিভাজন হয় তাহলে লাভ হবে কাদের? লাভ হবে ওই পতিত বা পলায়নকৃত স্বৈরাচারের আর দোসররা লেগে আছে। ওই ফাঁক দিয়ে আমাদের ঐক্যের যদি বিনষ্ট করতে পারে, সেই ফাটল দিয়ে ঢুকে পড়তে চেষ্টা করবে পতিত স্বৈরাচার। স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু তাদের দোসররা কিন্তু আছে। মনে রাখতে হবে আপনার আমার আশেপাশের মানুষগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে তারা কি করছে? তারা কি আচরণ করছে?”
জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমিরের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব কে এম সোহেল রানা ও উত্তরের সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহর সঞ্চালনায় সভায় মৎস্যজীবী দলের সদস্য সাবেক সচিব আবদুর রহিম, দক্ষিণের আহ্বায়ক শাহ আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/রায়হান/এসবি