মেঘনা গ্রুপের চিনি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, দেড়ঘন্টার চেষ্টায় নয়ন্ত্রণে
Published: 18th, October 2025 GMT
সোনারগাঁয়ের ঝাউচর এলাকায় মেঘনা গ্রুপের চিনি কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিস ও মেঘনা গ্রুপের ৮ টি ঔ ইউনিট দেড় ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে হতাহত ও ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি। আগুনের খবর সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যাওয়া সাংবাদিকদের কারখানায় প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকায় মেঘনা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ফ্রেশ চিনির কারখানায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সাইলোতে হঠাৎ বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। এসময় আগুন বিভিন্ন সাইলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি ইউনিট ও মেঘনা গ্রুপের নিজস্ব ৫ টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। দীর্ঘ দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী মেঘনা গ্রুপের চিনি কারখানার কর্মচারী সজল সরকার জানান, সীড ক্যারেসিন সাইলোতে আগুন ধরে যায়। মূহুর্তের মধ্যে আগুন বিভিন্ন সাইলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওসমান গণি জানান, মেঘনা গ্রুপের চিনি কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্টিস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক (টেকনিক্যাল) কার্তিক চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে বললেন ইউজিসি চেয়ারম্যান
শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বরিশালের বেলস পার্কে অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর মাধ্যমে বরিশালে প্রথম কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিক হলো। এতে ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
ইউজিসির অর্থায়নে গবেষণা করবেন ইবির ১৪১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’
অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, “শিক্ষার্থীদের এই বয়সে শিক্ষকরাও একদিন ছিলেন। তাই তারা জানেন এই সময়ে শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে কত চঞ্চলতা-অস্থিরতা কাজ করে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তো সেই বয়সটা ছিল না, যে বয়সটা আজ শিক্ষকরা পার করছেন। এই গ্যাপটা শিক্ষককে দূর করতে হবে।”
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে হবে। তাদের চাহিদা কি তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে একজন শিক্ষককে। শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সচেতন, তারা আপনাদের পর্যবেক্ষণ করে। তারা বুঝতে পারে আপনি প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে যাচ্ছেন, নাকি যাচ্ছেন না।”
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ড. ফায়েজ বলেন, “তোমরা আজ গর্বিত গ্রাজুয়েটস। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন নিজেদের বাবা-মাসহ দেশ ও জাতি। তাই সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। তোমরা সবা বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে এসেছ। যারা তোমাদের শিক্ষাদান করলেন, তাদের কথা মনে রেখ।”
অধ্যাপক ড. ফায়েজ স্মৃতিচারণ করে বলেন, “ছোটবেলায় স্কুলের ছাত্রাবস্থায় বরিশাল এসেছিলাম, তারপর আজ আবার আসলাম। এই সময়ের মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে জিইউবি। এই বিশ্ববিদ্যালয় চরিত্র গঠন করে কিভাবে বেঁচে থাকতে হয়, তা শেখায়। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণে এগিয়ে এসেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে কাজ করতে হবে।”
এছাড়াও সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ। অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউজিভির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সোহরাব হোসেন, ইউজিভি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. ইমরান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাবেয়া বেগম, সমাবর্তনের আহ্বায়ক ইউজিভির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।
সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
ঢাকা/পলাশ/মেহেদী