অনলাইন ট্যুরিজম মেলার কুইজ বিজয়ীরা পেলেন পুরস্কার
Published: 23rd, November 2025 GMT
প্রথম আলো অনলাইন ট্যুরিজম মেলায় প্রতিদিনের কুইজ প্রতিযোগিতা ‘ভ্রমণজান্তা’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ী ১২ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
‘ভ্রমণের সবকিছু, এখানেই…’ স্লোগানে গত ৭ থেকে ১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় অনলাইন ট্যুরিজম মেলা। প্রথম আলো ডটকম দ্বিতীয়বারের মতো সাত দিনব্যাপী এ মেলা আয়োজন করে। tourismmela.
নির্বাচিত ১২ জনের মধ্যে দৈবচয়নের ভিত্তিতে এয়ার অ্যাস্ট্রার সৌজন্যে চারজন পেয়েছেন ঢাকা–কক্সবাজার–ঢাকা উড়োজাহাজের টিকিট। তিনজন পেয়েছেন ঢাকা–সিলেট–ঢাকা উড়োজাহাজের টিকিট। বাকি পাঁচজন পেয়েছেন হোটেল হলিডে ইনে কাপল ডিনারের সুযোগ।
এ সময় ছুটি রিসোর্টস কক্সবাজারের সৌজন্যে তাৎক্ষণিকভাবে বিজয়ীদের মধ্য থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে তিনজনকে কক্সবাজারে অবকাশযাপনের সুযোগের ঘোষণা দেওয়া হয়। দুজন সৌভাগ্যবান দুই রাত তিন দিন এবং একজন এক রাত এক দিন ছুটি রিসোর্টস কক্সবাজারে থাকার সুযোগ পাবেন।
অনলাইন ট্যুরিজম মেলার ব্যাংকিং পার্টনার হিসেবে ছিল ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। কো–স্পনসর ভূমি প্রোপার্টিজ। এয়ারলাইনস পার্টনার ছিল এয়ার অ্যাস্ট্রা। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো গোযায়ান, ভাইয়া হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস, ছুটি রিসোর্ট, গাড়িবুক, ছুটি রিসোর্টস কক্সবাজার, এমঅ্যান্ডএন হলিডেজ, ট্রিপনেস্ট লিমিটেড, রেনেসান্স হলিডেজ, চলঘুরি লিমিটেড, হলিডে ইন, এমি ট্রাভেল টেকনোলজি লিমিটেড এবং এয়ারপিডিয়া হলিডেজ। কমিউনিটি পার্টনার ছিল ট্রাভেল বিডি, রোপ ফোর, ভ্রমণকন্যা ও গো–গার্লস।
ঢাকা–কক্সবাজার–ঢাকা বিমান টিকিট পেয়েছেন ঢাকার জুবের আহমেদ সাহেল, আবদুল ওয়াসিফ চৌধুরী, শারমিন জাহান লুনা এবং মো. আসিম ইত্তিসাম। ঢাকা–সিলেট–ঢাকার বিমান টিকিট পেয়েছেন ঢাকার আয়েশা সিদ্দিকা, তাহমিদ হাসান এবং কামরুন নাহার। হোটেল হলিডে ইনে কাপল ডিনারের সুযোগপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকার ইবনুন নাফিস ঐশ্বর্য, মো. সালাউদ্দিন, জেড এম সাইফুল ইসলাম, ইফফাত হাজান রিয়া এবং গাজীপুরের মো. কায়ছার আহমেদ। ছুটি রিসোর্টস কক্সবাজারের সৌজন্যে দুই দিন তিন রাত অবকাশযাপনের সুযোগ পেয়েছেন ঢাকার কামরুন নাহার ও ইফফাত জাহান রিয়া এবং এক দিন এক রাত অবকাশযাপনের সুযোগ পেয়েছেন ঢাকার মো. সালাউদ্দিন।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হলো পর্যটন খাত। যার মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যায়, যেখানে বহু লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। আজকের এ আয়োজনে যাঁরা এসেছেন আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, আপনাদের অংশগ্রহণেই অনলাইন ট্যুরিজম মেলা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিজয়ীদের অভিনন্দন।’
ইস্টার্ন ব্যাংকের (ইবিএল) হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং সৈয়দ এহসানুর করিম অন্তর বলেন, ‘ট্যুরিজমের সঙ্গে পেমেন্টের সম্পর্ক সরাসরি। ইবিএল ভ্রমণপ্রেমীদের ভ্রমণকে সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন করতে সব সময় বিভিন্ন অফার নিয়ে আসে। সেই অফারগুলো গ্রাহকের মাঝে পৌঁছে দিতে আমরা এই মেলাকে বেছে নিই। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গ যুক্ত থাকবে ইবিএল।’
ভূমি প্রোপার্টিজ লিমিটেডের উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন মো. জাবেদ বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ হলো তরুণ প্রজন্ম। তাঁদেরকে খেলাধুলা এবং ভ্রমণে উৎসাহ দেওয়া দরকার। সেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এ মেলায় অংশ নিয়েছি। প্রথম আলো ডটকমকে ধন্যবাদ এ রকম উদ্যোগ গ্রহণের জন্য।’
এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মেজবাউল ইসলাম বলেন, ‘দেশে অফলাইন ট্যুরিজম মেলা অনেক হয়। কিন্তু অনলাইনে এ ধরনের উদ্যোগে প্রথম আলোই প্রথম। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে আমরা থাকতে চাই।’
প্রথম আলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্রেস্ট হাতে অনলাইন ট্যুরিজম মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। প্রথম আলো কার্যালয়, কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ২৩ নভেম্বরউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ব জয় দ র প রস ক র উদ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তি দাবিতে সংসদের সামনে মানববন্ধন
বাউলশিল্পী আবুল সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘সম্প্রীতি যাত্রা’। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন বাউল–সুফি সংগঠন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল— ‘আবুল সরকারের মুক্তি চাই’, ‘গান, জ্ঞান ও ভক্তির নিরাপত্তা চাই’, ‘মাজার দরবার রক্ষা করো’, ‘পৃথিবীটা একদিন বাউলের হবে’—এমন বক্তব্য–সংবলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড
মানববন্ধনে বাংলাদেশ সুফি জাগরণ পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই দেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সুফি–বাউলরা সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। পরিকল্পিতভাবে শিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার বলেন, ‘একদিন পৃথিবীটা বাউলের হবে। শিল্পীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তার মানবাধিকার লঙ্ঘন—এটি মেনে নেওয়া হবে না।’
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘সরকার একদিকে লালনের অনুষ্ঠান করে, অন্যদিকে বাউল-ফকিরদের ওপর নির্যাতন চালায়। ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’মানববন্ধনে আহলে সুন্নত জামায়াতের সভাপতি মাওলানা নূরে আলম সাঈদ সরকারকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আবুল সরকারকে মুক্তি না দিলে দেশের সব বাউল–ফকির রাস্তায় নামবে। বাউল সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার বলেন, ‘আবুল সরকার মুক্তি না পেলে ২০ লাখ বাউল–ফকির রাস্তায় নামবেন।’
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে থেকে শুরু হয়ে খেজুরবাগান মোড় ঘুরে আবার দক্ষিণ প্লাজায় এসে শেষ হয়। পুরো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে শিল্পীর মুক্তি এবং সব ধরনের বৈষম্য ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।