৫০ ওভারই স্পিন বোলিং, এমন কিছু আগে দেখেনি ওয়ানডে, ম্যাচের রেকর্ডটা ভাঙতে যাচ্ছে
Published: 21st, October 2025 GMT
নতুন ইতিহাস লেখা হলো মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। স্পিন ট্র্যাকে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পুরো ৫০ ওভারই করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনাররা। ৫৪ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে এই প্রথম স্পিনাররা ‘ফিফটি’ করলেন বোলিংয়ে।
ওয়ানডেতে এক ইনিংসে স্পিনারদের সবচেয়ে বেশি বোলিং করার আগের রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার। তিনবার ইনিংসে ৪৪ ওভার বোলিং করেছিলেন দলটির স্পিনাররা। সেই রেকর্ড ভেঙে আজ নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এমনই এক রেকর্ড যেটি ভাঙার কোনো সম্ভাবনা নেই, যে রেকর্ড শুধু ছোঁয়াই সম্ভব।
ওয়ানডেতে এর আগে পেসারদের হাতে বল না দিয়ে সবচেয়ে বেশি ওভার বোলিং করার রেকর্ড ছিল ওমানের। এ বছরই যুক্তরাষ্ট্রকে ৩৫.
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা এর আগে ওয়ানডেতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৪ ওভার বোলিং করিয়েছিল স্পিনারদের দিয়ে। সেটি ২০০১ সালের ঘটনা, গ্রেনাডায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
৪০.০মিরপুরে স্পিনারদের সবচেয়ে বেশি বোলিং করার আগের রেকর্ড। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ। সরাসরি: বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ওয়ানডেস্পিনের আরেকটি বিশ্ব রেকর্ডও ডাকছেএক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বোলিংয়ের রেকর্ডটা তো হলোই। এক ম্যাচের রেকর্ডটাও ভাঙতে পারে আজ। বাংলাদেশের স্পিনাররা ২৮.৩ ওভার বোলিং করলেই হয়ে যাবে রেকর্ড।
ওয়ানডেতে এক ম্যাচে স্পিনাররা সর্বোচ্চ ৭৮.২ ওভার বোলিং করেছেন। ২০১৯ সালে দেরাদুনে আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে। আইরিশ স্পিনাররা ৩৯ ও আফগান স্পিনাররা ৩৯.২ ওভার বোলিং করেছিলেন সেদিন।
আরও পড়ুনলারার ফুটওয়ার্ক ছিল মাইকেল জ্যাকসনের মতো, বললেন টেন্ডুলকার১৯ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র কর ড কর ছ ল সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
চবির হল সম্পাদককে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করতে বললেন প্রাধ্যক্ষ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদে হল সংসদের নবনির্বাচিত রিডিংরুম, ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদককে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করতে বলার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত হল প্রাধ্যক্ষের নাম অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এনামুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক।
আরো পড়ুন:
জোবায়েদ হত্যার বিচার যেন গ্রেপ্তারেই সীমাবদ্ধ না থাকে: জবি উপাচার্য
৩ দাবিতে রাবি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে শাটডাউন
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ৪টায় রাইজিংবিডি ডটকমকে বিষয়টি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হল সম্পাদক শিহাবুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
অভিযোগে তিনি বলেন, “আমি আজ (মঙ্গলবার) স্যারকে বলেছিলাম- আমাদের হল লাইব্রেরির জন্য নির্বাচনের আগে কিছু চেয়ার এসেছিল, সেগুলো এখন দেখতে পাচ্ছি না; চেয়ারগুলো এখন কোথায় আছে? তিনি বললেন- ‘তুমি অফিসে জিজ্ঞেস করনি? তুমি এত প্রশ্ন করছো কেন? তুমি আমাকে বলার কে?’ পরে আমি আমার পরিচয় দিয়েছি। স্যারের কথা বলার ধরণ অস্বাভাবিক ছিল।”
তিনি আরো বলেন, “এরপর বলছিলাম- ‘স্যার, আমাদের লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা খুবই কম।’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তোমাদের সব ইশতেহার পূরণ করতে পারব না। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড ম্যানেজ করে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করবা।”
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, “আমিও হল সংসদের সভাপতি, সে-ও আমার বডির একজন সদস্য। সে যদি আমার ব্যাপারে এমন অভিযোগ করে থাকে, তাহলে বিষয়টা নিয়ে হল সংসদের সবাই আগামীকাল একসঙ্গে বসে আলোচনা করব। আমরা তো সবাই এক পরিবারের অংশ। আমাদের মধ্যে কোনকিছু হলে সেটা আমরা নিজেদের মধ্যে সমাধান করব।”
হল প্রাধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে এর আগে হলের শিক্ষার্থীদের থেকে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি দু-তিন মাসে একবার হলে যান। হলটিতে পানি-ওয়াইফাই সেবাসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও তিনি এসবের খোঁজ রাখেন না।
এ বিষয়ে গত আগস্ট মাসে এই প্রতিবেদক অধ্যাপক এনামুল হককে মোবাইলে কল করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে তুমি আমাকে জিজ্ঞেস না করে অফিসে জিজ্ঞেস করো। তুমি আমাকে কল করার কে? তুমি কোন পত্রিকার সাংবাদিক সেটা আমি দেখব। তুমি বিভাগে কাগজপত্র নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করো।”
পরে বিভাগের গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলে কল দিলে তিনি তার বক্তব্যের জন্য প্রতিবেদকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। একইসঙ্গে জানান, হলের সমস্যা সমাধানে তিনি কাজ করছেন।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী