‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে’
Published: 21st, October 2025 GMT
“বাজার ব্যবস্থা যদি মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্বাসযোগ্য বা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংক কখনো প্রকৃত স্বাধীনতা পায়নি, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। দিতে হবে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করার স্বাধীনতা।”
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান। আলোচনায় তিনি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরো পড়ুন:
আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি বোর্ড গঠনে নীতিমালা অনুমোদন
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ হলো দ্রব্যমূল্যে স্থিতিশীল রাখা। প্রবৃদ্ধিকে সহায়তার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। একইসঙ্গে আর্থিক খাতে সুশাসন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।”
তিনি আরো বলেন, “অতীতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সুদহার ও ডলারের দাম ঠিক হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে কয়েকটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমলাদের গভর্নর করা হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা দিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার, ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনসহ অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, “ব্যাংক খাতের সব সূচক খারাপ হয়ে পড়েছে। আগে থেকেই আমরা তা বলেছি। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিক হয়েছে। ব্যাংক খাতের প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে এসেছে। এতদিন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্যাংকিং বিভাগ বিলুপ্ত করে দিতে হবে। ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন চলবে না। পাশাপাশি এই বিষয়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। পরবর্তী সরকার তার স্বীকৃতি দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা কার্যকর হবে।”
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “ব্যাংক কোম্পানি আইন রয়েছে। কিন্তু আইনে যা থাকুক না কেন ব্যাংক খাতের উন্নয়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা বেশি জরুরি।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা দিলেও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। আগে গ্রাহক খেলাপি হত, এখন ব্যাংক খেলাপি হয়ে পড়েছে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “আমরা কখনো বাংলাদেশ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রাজনৈতিক নিয়োগ দেইনি। বাংলাদেশের ব্যাংকে স্বায়ত্তশাসন নয়, স্বাধীনতা দিতে হবে। অর্থনীতির সবকিছু অটোমেশন করে ফেলতে হবে। তাহলে দেশের দুর্নীতি কমবে।”
ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র স ব ধ নত র জন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে’
“বাজার ব্যবস্থা যদি মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্বাসযোগ্য বা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংক কখনো প্রকৃত স্বাধীনতা পায়নি, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। দিতে হবে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করার স্বাধীনতা।”
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান। আলোচনায় তিনি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরো পড়ুন:
আতিউর-বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অনুমোদন
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি বোর্ড গঠনে নীতিমালা অনুমোদন
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ হলো দ্রব্যমূল্যে স্থিতিশীল রাখা। প্রবৃদ্ধিকে সহায়তার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। একইসঙ্গে আর্থিক খাতে সুশাসন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।”
তিনি আরো বলেন, “অতীতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সুদহার ও ডলারের দাম ঠিক হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে কয়েকটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমলাদের গভর্নর করা হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা দিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার, ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনসহ অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, “ব্যাংক খাতের সব সূচক খারাপ হয়ে পড়েছে। আগে থেকেই আমরা তা বলেছি। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিক হয়েছে। ব্যাংক খাতের প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে এসেছে। এতদিন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্যাংকিং বিভাগ বিলুপ্ত করে দিতে হবে। ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন চলবে না। পাশাপাশি এই বিষয়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। পরবর্তী সরকার তার স্বীকৃতি দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা কার্যকর হবে।”
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “ব্যাংক কোম্পানি আইন রয়েছে। কিন্তু আইনে যা থাকুক না কেন ব্যাংক খাতের উন্নয়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা বেশি জরুরি।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা দিলেও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। আগে গ্রাহক খেলাপি হত, এখন ব্যাংক খেলাপি হয়ে পড়েছে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “আমরা কখনো বাংলাদেশ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রাজনৈতিক নিয়োগ দেইনি। বাংলাদেশের ব্যাংকে স্বায়ত্তশাসন নয়, স্বাধীনতা দিতে হবে। অর্থনীতির সবকিছু অটোমেশন করে ফেলতে হবে। তাহলে দেশের দুর্নীতি কমবে।”
ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী