দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূলের দিকে আজ বুধবার সকালে একাধিক স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে এটাই উত্তর কোরিয়ার প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ। খবর আলজাজিরার।

এই ক্ষেপণাস্ত্র এমন এক সময়ে ছোড়া হলো, যার এক সপ্তাহ পরই দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়োংজু শহরে শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলন। সেখানে যোগ দেবেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বের শীর্ষ নেতারা।

আরো পড়ুন:

দক্ষিণ কোরিয়ার জালে ব্রাজিলের ৫ গোল

দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘বিশেষ অস্ত্র’ মোতায়েন করল উত্তর কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা কয়েকটি বস্তুকে শনাক্ত করেছি, যা স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে; এগুলো পূর্ব সাগরের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে।”

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমাদের সেনাবাহিনী সম্ভাব্য অতিরিক্ত উৎক্ষেপণের আশঙ্কায় নজরদারি জোরদার করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে তথ্য আদানপ্রদান করছে।”

এর আগে, সবশেষ ৮ মে ও ২২ মে পূর্ব সাগরের উপকূলে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া । তাছাড়া, এ মাসের শুরুতে সামরিক কুচকাওয়াজে হুয়াসং-টুয়েন্টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেন দেশটির নেতা কিম জং উন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন চীন ও রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এপেক সম্মেলনের আগে বা চলাকালীন উত্তর কোরিয়া বিশ্বকে তাদের পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাপ হিসেবে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বল প

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ