ভারত ভুল করলেও আমরা করব না: মৎস্য উপদেষ্টা
Published: 22nd, October 2025 GMT
ডিম ছাড়া ও প্রজননের জন্য মা ইলিশ রক্ষায় সাগরে ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সময়সীমার তারতম্য প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘‘ভারত যদি ভুল করে, আমরা ভুল করব না।’’
বুধবার (২২ অক্টোবর) সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা নিষেধাজ্ঞার যে সময়টা নির্ধারণ করি, সেটা আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার চার দিন আগে থেকে; মোট ২২ দিনের জন্য। আমরা নিষেধাজ্ঞার যে সিদ্ধান্ত নিই—সেটা গবেষক, বিএফআরআই ও জেলে প্রতিনিধিদের সম্মতিক্রমে।’’
তিনি বলেন, ‘‘ইলিশ তো আর ক্যালেন্ডারের তারিখ ধরে ডিম ছাড়বে না। চাঁদের তারিখ, পূর্ণিমা-অমাবস্যা ধরে ইলিশ ডিম ছাড়ে। এখন ভারত যদি টেকনিক্যালি করে থাকে, আমরা তাদের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’’
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞার সময়ে আমাদের জেলেরা নদী বা সাগরে যেতে পারে না। তখন কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ নজরদারি করে। কিন্তু এ সময়ে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় এসে মাছ ধরছে বলে তথ্য পাচ্ছি। বিষয়টি জানার পরে কোস্টগার্ডকে জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’
ঢাকা/সাব্বির/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে ফিরতে রাজি হয়েছে, জানালেন ট্রাম্প
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প একে একে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। শুক্রবার এসব ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ দুটির অবস্থান জানান ট্রাম্প।
আরও পড়ুননিজেদের ভূখণ্ড থেকে কম্বোডিয়ার বাহিনীকে সরিয়ে দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে থাইল্যান্ড০৯ ডিসেম্বর ২০২৫নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, ‘তাঁরা (থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী) আজ সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন। মালয়েশিয়ার দুর্দান্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় প্রস্তুত করা যে শান্তি চুক্তিতে আমার এবং তাঁদের দুজনের সই রয়েছে, সেটায় ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।’
সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশ দুটির বিরোধপূর্ণ সীমান্তের দুপাশে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে গত জুলাইয়ে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ ও মালয়েশিয়ার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়। থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তাদের বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুনকম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাতে থাই সেনা নিহত, পাল্টা বিমান হামলা থাইল্যান্ডের০৮ ডিসেম্বর ২০২৫অক্টোবরে আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নিতে ট্রাম্প মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যান। তখন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে সই হয়। চুক্তিতে সই করেন দেশ দুটির প্রধানমন্ত্রীরা। সই করেন ট্রাম্পও।
থাইল্যান্ড গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থগিত করে। সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর ব্যাংককের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
আরও পড়ুনথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া কেন সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে, সমাধান কোন পথে ২৬ জুলাই ২০২৫