মর্গের তরুণীর লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার, ডোম গ্রেপ্তার
Published: 23rd, October 2025 GMT
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে এক তরুণীর (২০) লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে আবু সাইদ (১৯) নামের এক ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে মমেক হাসপাতালের লাশকাটা ঘরে এ ঘটনা ঘটে। সেদিন রাতেই হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আবু সাঈদ ময়মনসিং হের হালুয়াঘাট উপজেলার খন্দক পাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি হালুয়াঘাট থানায় মরদেহ আনা-নেওয়া করতেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জসিম উদ্দিন বলেছেন, গত রবিবার হালুয়াঘাট উপজেলায় রাত আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। রাতে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হেফাজাতে রাখে। পরদিন সকাল ১১টায় ডোম আবু সাইদ ও আরেকজন তরুণীর লাশ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসেন। তারা মর্গে মরদেহ রেখে চলে যান। আধা ঘণ্টা পর আবু সাইদ ও তার সঙ্গী এসে চাবি নিয়ে মর্গে ঢুকে লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন। মর্গে কর্তব্যরত ডোম এসে অন্ধকার দেখতে পেরে লাইট জ্বালান। এ সময় আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে মর্গে ঘুমাতে দেখেন। মরদেহ দেখে কর্তব্যরত কর্তব্যরত ডোমের সন্দেহ হলে চিকিৎসককে খবর দেন তিনি। চিকিৎসক এসে ময়নাতদন্ত করে ধর্ষণের আলামত পান।
ওই ডোম বলেন, চিকিৎসক ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করলে হালুয়াঘাট থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আবু সাইদ ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলার বাদী হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল বলেন, আবু সাইদ জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি হালুয়াঘাট থানায় মরদেহ আনা-নেওয়া করতেন।
ঢাকা/মিলন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, চালক ও তাঁর সহকারী নিহত
ময়মনসিংহের ত্রিশালে দাঁড়িয়ে থাকা এক ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ছয়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বৈলর বড়পুকুরপাড় জামে মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন ট্রাকচালক আল আমিন (৪০) ও তাঁর সহকারী মো. রাশেদুল (২৮)। আল আমিন নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা। রাশেদুলের বাড়ি ময়মনসিংহ নগরের কালিবাড়ি গোদারাঘাট এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী লেনে বড়পুকুরপাড় এলাকায় একটি পণ্যবাহী ট্রাকের চাকা ফেটে সেটি সড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা আরেকটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ট্রাকচালক ও তাঁর সহকারী নিহত হন।
ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ চালাই। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। ট্রাকের ভেতরে আটকে থাকা আরেকজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ দুটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোবারক হোসেন বলেন, ‘দুজনের মরদেহ আমাদের হেফাজতে রয়েছে। দুটি ট্রাকও জব্দ করা হয়েছে। ভোরবেলায় কুয়াশা ও দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানোর কারণে ক্লান্তি বা ঘুম ভাব থেকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছি। আমরা প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।’