১০ জানুয়ারি থেকে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব
Published: 23rd, November 2025 GMT
আগামী ১০ জানুয়ারি ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (ডিআইএফএফ) পর্দা উঠবে। শেষ হবে ১৮ জানুয়ারি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উৎসব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর আটটি বিভাগে ৯১ দেশের ২৬৭টি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। বিভাগগুলো হলো এশিয়ান ফিল্ম কম্পিটিশন, রেট্রোস্পেকটিভ, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, বাংলাদেশ প্যানোরামা, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন ফিল্ম সেশন, ওমেন ফিল্মমেকার বিভাগ, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্ম ও ওপেন টি বায়োস্কোপ।
ঢাকার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর অডিটরিয়ামে সিনেমাগুলোর প্রদর্শনী হবে। এর বাইরে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও প্রদর্শনী হবে।
এ বছরও থাকছে ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ওমেন ইন সিনেমা’ শীর্ষক আয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগিতায় আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবে কনফারেন্সটি হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারী নির্মাতা, অভিনেত্রী এবং পেশাজীবীরা এতে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুনঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতল কোন সিনেমাগুলো২৮ জানুয়ারি ২০২৪পাশাপাশি চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হবে ‘ওয়েস্ট মিটস ইস্ট স্ক্রিনপ্লে ল্যাব’, ১১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এটি হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছর থেকে এই ল্যাব শুধু দক্ষিণ এশিয়ার নয়, সমগ্র এশিয়া মহাদেশের নির্মাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আজ যেসব সিনেমা দেখানো হবে২০ জানুয়ারি ২০২৩গত দুই উৎসবের মতো এবারও চীনা সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী থাকবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ মিলিটারি মিউজিয়ামের থ্রিডি আর্ট গ্যালারিতে চিত্রপ্রদর্শনী থাকবে। প্রদর্শনীটির কিউরেটরের দায়িত্বে থাকবেন শিল্পী লুতফা মাহমুদ।
চতুর্থবারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে মাস্টারক্লাস। মাজিদ মাজিদি, অঞ্জন দত্ত, শি চুয়ান এবং রাশেদ জামানের মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বরা এই আয়োজনে এর আগে অংশ নিয়েছেন। ২০২৬ সালের মাস্টারক্লাস হবে ১৭ জানুয়ারি, মাস্টারক্লাসে কারা থাকবেন—শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
১৯৯২ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার হাত ধরে বোনের উৎসবে ‘স্বপ্ন বুনতে’ এসেছিল অহনা
চোখেমুখে উচ্ছ্বাস আর প্রাণবন্ত ছোটাছুটি। কৃতী শিক্ষার্থীদের উৎসবে ছোট্ট অহনার পদচারণ চোখে পড়ছিল বারবার। কখনো নিজের মতো, কখনো বাবার হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। মাঝেমধ্যে তার ছবি তুলে দিচ্ছিলেন বাবা মো. আনোয়ার হোসেন। বাবার হাত ধরে অহনা এসেছিল কৃতী শিক্ষার্থী উৎসবে।
‘স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে, একসাথে’ স্লোগানে শনিবার খুলনা জিলা স্কুলে বসেছিল ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি-প্রথম আলো কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব-২০২৫’। উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত দিনব্যাপী উৎসবে অংশ নেন অহনার বড় বোন সানজিদা আফরোজ অর্পা। চলতি বছর খুলনার মজিদ মেমোরিয়ালস সিটি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। উৎসবে বাবার হাত ধরে আসে তাঁর ছোট বোন সাইমা আফরোজ অহনা।
অহনা এবার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে খুলনার ফাতেমা হাইস্কুলে। তার বাবা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ও সকালে ঘুমাচ্ছিল। বড় মেয়েটা এখানে আসবে। এখানে এত বড় আয়োজন, বড় বড় মানুষ আসেন। ভালো ফল করলে যে তার জন্য উৎসব হয়, এটা ওকে দেখাতে নিয়ে এসেছি। ছোট হলেও সে বেশ আনন্দ পাচ্ছে। ওর স্বপ্নটা বড় হচ্ছে। নিশ্চয়ই এখান থেকে সামনের দিনে ভালো কিছু করার আগ্রহটা বাড়বে। নিজেকে গড়তে ও স্বপ্ন বুনতে সাহসী হতে শিখবে।’
অহনার বোন সানজিদা আফরোজ বলেন, ‘এবার রেজাল্ট নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠায় ছিলাম। এর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে খুব উচ্ছ্বসিত হই। তবে সামনে ভর্তিযুদ্ধ নিয়ে এখন চিন্তিত। তাই প্রস্তুতিটাও সেভাবেই নিচ্ছি। এর মধ্যে এ আয়োজন সবার জন্য একটা ব্রেক। পড়াশোনার ব্যস্ততায় বন্ধুদের সবার সঙ্গে দেখা বা কথা হচ্ছিল না। একটা ভালো গেট টুগেদারের সুযোগ পেয়েছি। বেশ ভালো লাগছে। প্রথম আলোকে ধন্যবাদ এমন আয়োজনের জন্য।’
কৃতী শিক্ষার্থীদের এ উৎসবে পুরো পরিবার নিয়ে এসেছিলেন অনেকেই। খুলনা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দিনভর মেতে ছিল খুলনা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণ।
সকাল সাড়ে আটটায় মেয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান রেবেকা খাতুন। তাঁদের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার মদনপুর গ্রামে। এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য যশোরে থেকে কোচিং করছেন ফারিয়া আক্তার। অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে সহপাঠীদের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন ফারিয়া। তাঁর মা রেবেকা খাতুন বলেন, ‘ভোর সাড়ে পাঁচটায় যশোর থেকে বাসে উঠেছি। এইচএসসিতে ভালো ফল করেছে, এখন ওর পছন্দের বিষয় নিয়ে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলে কষ্ট সার্থক হবে।’
উৎসব নিয়ে রেবেকা খাতুন বলেন, ‘ওকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে এখানে নিয়ে এসেছি। এইচএসসির আগে থেকেই তো পড়াশোনার চাপে আছে। মাঝখানে একটু আনন্দের সুযোগ পেল। আর এখানে অনেক গুণী মানুষ এসেছেন, কথা বললেন। নিশ্চয়ই ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা পাবে।’