পটুয়াখালীর বাউফল পাবলিক মাঠে মেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়কে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার পাবলিক মাঠের দক্ষিণ পাশে বাউফল-বগা-বরিশাল মহাসড়কে তারা বিক্ষোভ করেন। 

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্যকালে স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল বলেন, ‍“আমরা ছোটবেলা থেকে এই মাঠে খেলাধুলা করে বড় হয়েছি। বর্তমান প্রজন্মও এই মাঠে খেলাধুলা করছে। একটি স্বার্থেন্বেষী মহল এই মাঠে মেলার আয়োজন করেছে। যদি খেলার মাঠ মেলার নামে দখল হয়ে যায়, তাহলে আমাদের সন্তানরা কোথায় খেলাধুলা করবে।” 

আরো পড়ুন:

লালন মেলায় ৭৮ মোবাইল ফোন চুরি

মিলল ২ দিনের অনুমতি, কুন্ডুবাড়ি মেলা শুরু কাল

অপর বক্তা রুমান বলেন, “সামনে বিএ ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা। আমাদের বাচ্চাদের বার্ষিক পরীক্ষা ও বৃত্তি পরীক্ষা রয়েছে। এই অবস্থায় যদি মেলা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি সাধারণ মানুষও ভোগান্তিতে পড়বেন।” 

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড.

মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী বলেন, “কোনো মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অনুমতি ছাড়া কিছু হলে সেটা ইউএনওকে জানানো হয়েছে, তিনি ব্যবস্থা নেবেন। আমরা এই মুহূর্তে সরকারি মেলা ছাড়া অন্য কোনো মেলার অনুমতি দিচ্ছি না।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল র খবর

এছাড়াও পড়ুন:

হত্যা মামলা থেকে ইরেশ যাকেরের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে পুলিশের প্রতিবেদন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম (শ্রাবণ) নিহতের মামলা থেকে অভিনেতা ইরেশ যাকেরের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সম্প্রতি এ প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমন।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, একই হত্যা মামলা থেকে ফোরথট পিআরের (কনসার্ন অব এশিয়াটিক) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকরাম মঈন চৌধুরীরও অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে।

পুলিশের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার ঘটনাস্থলে ইরেশ যাকের ও ইকরাম মঈন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের ঘটনাস্থলে উপস্থিতির স্থিরচিত্র বা কোনো ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট মিরপুরে মাহফুজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ২০ এপ্রিল মাহফুজের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকেরকে আসামি করা হয়। জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলক মামলা হচ্ছে অভিযোগ করে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানায় হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। পাশাপাশি এসব মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ যাঁদের ইচ্ছাকৃত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে, তদন্ত করে সেসব নাম বাদ দিতে আহ্বান জানায় তারা।

এ নিয়ে গত ২৮ এপ্রিল সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ইরেশ যাকেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। জুলাই আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন। ফলে এটা ডিপলি ট্রাবলিং অ্যান্ড ডিপলি ডিস্টার্বিং (খুবই বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক)।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ