অনেকে নাইট কোচে এসে ব্যানার দেখিয়ে ভিডিও ফেসবুকে দেয়, বাস্তবে কিছু না: ডিএমপি কমিশনার
Published: 23rd, October 2025 GMT
‘রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ একটি দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির বেশির ভাগই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
অনেকে নাইট কোচে এসে অল্প সময়ের জন্য ব্যানার দেখিয়ে ভিডিও করে ফেসবুকে দেন। এতে মনে হয় বড় মিছিল হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু নয় বলে জানান সাজ্জাত আলী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ডিএমপি-জাইকার আয়োজনে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠানের বিরতিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
একটি দল নিষিদ্ধঘোষিত, তারা ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি, যাতে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড না ঘটে।’
শেখ মো.
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, গত ১৭ বছরে দেশে বড় ধরনের কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়নি। ফলে বর্তমান কর্মরত দুই লাখ সদস্যের প্রায় অর্ধেকই এই সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত, যাঁদের অনেকেই কখনো ভোট দেননি বা নির্বাচনের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশে পুলিশের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে। সামনে একটা নির্বাচন আসছে, পুলিশ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পুলিশের অনেক সদস্যই নির্বাচনে দায়িত্ব কীভাবে পালন করতে হয়, তা জানে না বলে জানান পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তাই সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ডিএমপিতেও এই কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করার ওপর জোর দেন সাজ্জাত আলী।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স জ জ ত আল ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
নথি ঘষামাজা করে ৪০ কোটি টাকা কর ফাঁকি, চসিকে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) দুটি প্রতিষ্ঠানের পৌরকরের নথিতে ঘষামাজা করে ৪০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্তে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা নথি পর্যালোচনা ও চসিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৭–২০১৮ অর্থবছরে ইছাহাক ব্রাদার্সের হোল্ডিংয়ের পৌরকর নির্ধারণে ২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্থলে ২ মুছে দিয়ে ২০ কোটি টাকা কম দেখানো হয়। একইভাবে, ইনকনট্রেন্ড ডিপোর ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার পৌরকর ২ মুছে দিয়ে ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় দেখানো হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম বলেন, ‘‘নথি ঘষামাজা করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকেরও যোগসাজশ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সিগনেচার এক্সপার্ট ও ব্যাংকিং হিসেব তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব