ইসকন সদস্যদের সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদে বুটেক্সে মানববন্ধন
Published: 23rd, October 2025 GMT
গাজীপুরে ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড, মুসলিম নারীদের ধর্ষণ ও হুমকিসহ ইসকন সদস্যদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন
ধর্ষণে অভিযুক্ত বুয়েট শিক্ষার্থীর বিচার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
এর আগে, দুপুর ১টার পর বুটেক্সের পকেট গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে তারা মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান বলেন, “সম্প্রতি ইসকন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা মুসলিম মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করছে। বিশেষ করে গাজীপুরের শিশু আশামণি ধর্ষণ, বুয়েটের শিক্ষার্থীর এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং মুসলিম নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের মতো ঘটনাগুলো মুসলিম সমাজের প্রতি গভীর বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ।”
তিনি আরো বলেন, “গাজীপুরের এক মসজিদের খতিবকে ইসকন সদস্যদের হত্যার হুমকি ও অপহরণের ঘটনাও অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এসব ঘটনার দ্রুত বিচার ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
ঢাকা/তৌকির/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাজারের খাস জায়গার বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী আনন্দ বাজারসংলগ্ন পুরোনো বাঁশ বাজারের খাস জায়গা বন্দোবস্ত দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তাঁরা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, জায়গাটি বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন তাঁদের নাম প্রকাশ করছে না।
আজ দুপুরে জেলা শহরের আনন্দ বাজার, টান বাজার, জগৎ বাজার, সড়ক বাজার, নিউমার্কেট, চাল বাজার ও সবজি বাজারের ব্যবসায়ীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। সেখানে মানববন্ধন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দ বাজার মাছ ও শুঁটকি মহলের সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মুত্তাকিম, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসনাত, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ, টান বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাঁশ বাজারে প্রায় ২১ শতাংশ খাস জায়গা আছে। কয়েক বছর আগে বাজারটি শহরের মেড্ডায় স্থানান্তর করা হয়। পরে শহরের যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আনন্দ বাজারসহ আশপাশের ব্যবসায়ীদের মালামাল ওঠানো–নামানোর জন্য এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জায়গাটি ছাড়া ব্যবসায়ীদের ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে আনা মালামাল ওঠানো-নামানোর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় সম্প্রতি ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশের খাস জায়গাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৩ জন অপরিচিত ব্যক্তিদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বক্তারা জনস্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্দোবস্ত বাতিলের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
সরেজমিনে বাঁশ বাজারে দেখা যায়, সেখানে বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে। চারপাশে লাল নিশানা টাঙানো হয়েছে। জায়গাটিতে উপজেলা হাটবাজার বন্দোবস্ত কমিটির পক্ষে দুটি বড় ব্যানার লাগানো।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, খাস খতিয়ানের জায়গাটি ৩৩ জনের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। জায়গাটি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ৩৩ জনের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বহু বছর ধরে জায়গাটি ময়লার ভাগাড় ছিল। ব্যবসায়ীরা জায়গাটি বন্দোবস্ত চেয়েছেন। সরকারের রাজস্ব বাড়াতে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বন্দোবস্ত পেয়েছেন, তাঁরা সেখান থেকে ১৫-২০ ট্রাক ময়লা সরিয়েছেন। বালু ফেলে সুন্দর করায় এটি অন্যদের চোখে পড়েছে। পাঁচ বছর আগে কে বা কারা সেখানে ব্যবসায়ীদের ট্রাক রাখতে বলেছেন, এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। হাটবাজারের জায়গা ট্রাক রাখার জন্য বরাদ্দ দিতে পারি না। আমাদের ঝোলানো সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউএনওকে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি।’