সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভবদহ অঞ্চলের ৫ নদী পুনঃখনন কাজ উদ্বোধন
Published: 24th, October 2025 GMT
নাব্য ফিরিয়ে আনতে ভবদহ অঞ্চলের পাঁচটি নদীর ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ পুনঃখননের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) যশোরের অভয়নগর উপজেলার কালশীকুল গ্রামের ২১ ভেল্ট এলাকা থেকে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি শুরু করছে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চেলের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে এমনটি আশ করছেন এলাকাবাসী ও সংশ্লষ্টরা।
স্থানীয়দের উদ্দেশে যশোরের জেলা প্রশাসক মো.
আরো পড়ুন:
নদী থেকে বালু উত্তোলন, ২ জনকে কারাদণ্ড
মৌলভীবাজারে মনু নদের বাঁধে ধস
তিনি আরো বলেন, “ভবদহ পানি নিষ্কাষনের দ্বিতীয় পথ আমডাঙ্গা খালেও দ্রুত কাজ শুরু হবে। এখন আমরা নদী পুঃখনন শুরু করছি। এই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান আমরা করব।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, “শুক্রবার থেকে ভবদহ এলাকায় নদী পুনঃখনের কাজ শুরু হয়েছে। টেকা হরিহর নদীর কাজ শুরু হলে ভবদহর দুর্ভোগ লাঘব হবে। নদী খননের পর পলি অপসারণের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রকল্প পরিচালক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামুন উর রশিদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডর প্রকল্প পরিচালক বি.এম. আব্দুল মোমেন, প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর গাজী নাজমুল হাসান, যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী এবং মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না।
রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই দফা ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শন করেন। তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলে এলাকাবাসীকে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর যশোর ও খুলনার ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের আওতায় যশোর ও খুলনা অঞ্চলের হরিহর নদী (৩৫ কিলোমিটার), হরি-তেলিগাতি নদী (২০ কিলোমিটার), আপারভদ্রা নদী (১৮.৫ কিলোমিটার), টেকা নদী (৭ কিলোমিটার) ও শ্রী নদী (এক কিলোমিটার) পুনঃখনন করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, “জলাবদ্ধতা দূরীকরণে জনগণ উদ্ভাবিত টিআরএম প্রকল্প গণআন্দোলনে গৃহীত হয়। তবে, বিগত সরকার ২০১২ সালে ‘সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলার’ অজুহাতে সেটি বাতিল করে দেয়।”
তিনি বলেন, “নদী খনন, টিআরএম চালু, স্লুইসগেট খোলা, আমডাঙ্গা খাল খনন করা এই চারটি দাবি ছিল। ইতোমধ্যে এই চারটি দাবি মেনে নিয়েছেন পানি সম্পদ উপদেষ্টা। জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। স্লুইসগেটের ২১ ভেল্টের ১২টা খুলে দিয়েছে। প্রবল বেগে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নদী খননের কাজ শুরু হয়েছে। এই খননের সঙ্গে টিআরএম চালু না হলে প্রকল্প ব্যর্থ হবে। আমরা আশা করছি, উজানে নদী সংযোগ ও টিআরএম বাস্তবায়ন হবে।”
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী বলেন, “এবার সেনাবাহিনীর অধীনে নদী খনন বাস্তবায়ন হবে, এ কারণে একটু আশার আলো দেখছেন এলাকাবাসী।”
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ কর মকর ত প রকল প ট আরএম খনন র
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে ফিরতে রাজি হয়েছে, জানালেন ট্রাম্প
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প একে একে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। শুক্রবার এসব ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ দুটির অবস্থান জানান ট্রাম্প।
আরও পড়ুননিজেদের ভূখণ্ড থেকে কম্বোডিয়ার বাহিনীকে সরিয়ে দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে থাইল্যান্ড০৯ ডিসেম্বর ২০২৫নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, ‘তাঁরা (থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী) আজ সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন। মালয়েশিয়ার দুর্দান্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় প্রস্তুত করা যে শান্তি চুক্তিতে আমার এবং তাঁদের দুজনের সই রয়েছে, সেটায় ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।’
সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশ দুটির বিরোধপূর্ণ সীমান্তের দুপাশে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে গত জুলাইয়ে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ ও মালয়েশিয়ার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়। থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তাদের বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুনকম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাতে থাই সেনা নিহত, পাল্টা বিমান হামলা থাইল্যান্ডের০৮ ডিসেম্বর ২০২৫অক্টোবরে আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নিতে ট্রাম্প মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যান। তখন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে সই হয়। চুক্তিতে সই করেন দেশ দুটির প্রধানমন্ত্রীরা। সই করেন ট্রাম্পও।
থাইল্যান্ড গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থগিত করে। সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর ব্যাংককের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
আরও পড়ুনথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া কেন সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে, সমাধান কোন পথে ২৬ জুলাই ২০২৫