নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই: প্রেস সচিব
Published: 24th, October 2025 GMT
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ বিষয়ে তিনি বলেন, “দলটির জন্য আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।”
আরো পড়ুন:
সংবাদ সম্মেলন করে দল ছাড়লেন আ.
নাটোরে সর্বহারা নেতাসহ আ.লীগের ৫ কর্মী গ্রেপ্তার
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) মাগুরা নবভঙ্গা পার্কে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ পরিদর্শন শেষে শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
পরিদর্শনের সময় শফিকুল আলম জানান, ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ আনুষ্ঠানিকভাবে উপদেষ্টাদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হবে।
গণভোট সম্পর্কে প্রেস সচিব বলেন, “জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে, জাতীয় নির্বাচনের আগে বা পরে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এই বিষয়ে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।”
জুলাই সনদের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “জুলাই সনদের বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছে। যে কয়েকটি দল এখনও স্বাক্ষর করেনি, তারাও নীতিগতভাবে সনদে সম্মতি দিয়েছে।”
জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর সংশোধনী বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, “এতে না ভোট রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে কোনো এলাকায় একজন প্রার্থী থাকলে জনগণ তার বিপরীতে ‘না ভোট’ প্রয়োগ করে তাকে প্রত্যাখ্যানের সুযোগ পায়।” খবর বাসসের।
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকায় সমাবেশ ২৪ অক্টোবর
সরকার এখনও নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক ‘গণঅভ্যুত্থানের গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন’ ও ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন’সহ আট দফা দাবিতে আগামী ২৪ অক্টোবর ঢাকা সমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
জোবায়েদ হত্যার বিচার যেন গ্রেপ্তারেই সীমাবদ্ধ না থাকে: জবি উপাচার্য
ইবিকে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের
তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল আড়াইটা থেকে সমাবেশ শুরু হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে পুনর্গঠন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে পদক্ষেপ, সন্ত্রাস–চাঁদাবাজি–দখলবাজি রোধ এবং দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার তৎপরতা বন্ধের দাবিতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর কারও কারও উগ্র ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য, সরকারের অকার্যকারিতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনে দুর্বলতার কারণে এখনও ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ বিদ্যমান।”
তিনি সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলোর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “মিরপুরের কেমিকেল গুদাম, চট্টগ্রামের ইপিজেড এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো গুদামে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা নিছক দুর্ঘটনা নাও হতে পারে। এসব ঘটনায় পরিকল্পিত নাশকতার ইঙ্গিত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।”
তিনি এসব ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি, নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
সাইফুল হক বলেন, “নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় সরকার এখনও পাস করতে পারেনি। এবার ফেল করার সুযোগ নেই। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছাই মূল শর্ত।”
সাইফুল হক বলেন, “অঢেল অর্থব্যয়, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, ধর্মীয় অনুভূতির অপব্যবহার রোধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়বে।”
তিনি নির্বাচনকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ারও দাবি জানান।
সেগুনবাগিচার সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরী ও যুবরান আলী জুয়েল প্রমুখ।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ