বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের উদ্যোগে এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান দুলাল’র সভাপতিত্বে উক্ত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আবু জাফর আহমেদ বাবুল। 

বিকাল সাড়ে তিনটায় নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড এর কবিলের মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে করতে তিনি পৌঁছেন বৈঠকস্থলে। 

উক্ত উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুল সাত্তার, মহানগর ১৯ নং ওয়ার্ড থেকে যুবদল নেতা আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে আবু সাঈদ, রয়েল আহমেদ, দয়াল, রমজান যুব নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল সহকারে যোগদান করেন। এছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ডের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও সমর্থক বিশাল মিছিল নিয়ে উঠান বৈঠকে যোগদান করেন।

বৈঠকে এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত হয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবী উপস্থাপন করেন আবু জাফর বাবুলের সামনে। জবাবে তিনি বলেন, দল যদি আমাকে মনোনীত করে, আর আপনারা যদি আমাকে আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন তবে আমি আপনাদের সকল সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।

তিনি আর বলেন, “আমি আপনাদের মাঝে তারেক রহমানের একটি বার্তা পৌঁছে দিতে এসেছি। সেই বার্তাটি হল দেশ গঠনের জন্য ৩১ দফা। এই ৩১ দফায় এমন কিছু বাকি নেই যেন দেশ পরিচালনা করতে অন্য কিছু লাগবে।

আমাদের নেতা তারেক রহমান খুব বিচক্ষণ ও গভীর চিন্তার মানুষ, পরবর্তী রাষ্ট্র নায়ক। দেশ পরিচালনা করতে যা যা লাগবে তার বক্তৃতায় সুস্পষ্ট। আপনারা মনোযোগ দিয়ে তাহার বক্তব্য গুলো শুনলেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।“ 

উঠান বৈঠক শেষে সবাইকে সাথে নিয়ে তিনি ২৫ নং ওয়ার্ডের ঢাকেশ্বরী পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করতে করতে এগিয়ে যান। সবশেষে তিনি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। এবং পদযাত্রা শেষ করেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলাম হতে হবে মদীনার ইসলাম, সেটা জামায়াতে ইসলাম না : মনির হোসাইন কাসেমী

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক ইসলামী দলের প্রার্থী জান্নাতের টিকেট দেয়, কেউ কেউ আবার রোজা ও পুজা এক করে ফেলে।

কেউ কেউ গিয়ে মন্দিরে গীতা পাঠও করে। পাল্লা ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক। কিন্তু সেই পাল্লাতেই আবার নিচ দিয়ে একটা বাটখারা দিয়ে ১ কেজির স্থলে ৮০০ গ্রাম ফল দেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। 

পাল্লা আমরা পছন্দ করি, কিন্তু ৮০০ গ্রামের পাল্লাকে সাপোর্ট করি না। আমরা ইসলামকে সাপোর্ট করি, ইসলাম আমার প্রাণের স্পন্দন,ইসলামের জন্য মরতে পারি। কিন্তু সেই ইসলাম হতে হবে মদীনার ইসলাম। সেটা জামায়াতে ইসলাম না। আমরা ৮০০ গ্রামের জামায়াতে ইসলামীকে পছন্দ করি না। তাদের ভোট দেয়াও জায়েজ না। 

শুক্রবার বিকেলে কাসেমী পরিষদের উদ্যোগে কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের লামাপাড়া এলাকায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মুফতি বশির উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ফতুল্লা থানা শাখার সভাপতি মাওলানা মোফাজ্জল বিন মাহফুজ প্রমুখ। 

মনির কাসেমী আরো বলেন, যে আওয়ামী লীগের কর্মীরা চাঁদাবাজি, জবর-দখল, সন্ত্রাসী কাজ করেনি, তাদের গাঁয়ে কোন আচঁর লাগতে দেবো না। তবে অপরাধী যদি হয়ে থাকে তাহলে তাকে বাঁচতে দেবো না। সে যে দলেরই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। শুধুমাত্র দলীয় পরিচয়ের কারনে কোন নিরিহ মানুষকে হয়রানি যেনো না হতে হয়।

গডফাদার শামীম ওসমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগের এমপি আমাদের ফতুল্লায় থাকতেন না। তাই সমস্যা সমাধান করেননি। বড় বড় কথা বলেছেন, কিন্তু কাজ করেননি। তাই অল্প বৃষ্টিতেই পুরো ফতুল্লা আজ পানিতে তলিয়ে যায়।

আমি যদি আপনাদের ভোটে জিততে পারি তাহলে আগামি ৫ বছরে জলাবদ্ধতা, গ্যাস, বিদ্যুৎ এর সমাধান করবো। সমাধান করতে না পারলে এখানেই থাকবো। 

তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ৫৫ বছর দেখেছেন, কোন সময়েই এভাবে আলেম ওলামারা আসেনি। একটিবারের জন্য আলেমদের বিশ্বাস করে দেখেন, দেখবেন আগামি ৫ বছরে ৫৫ বছরে যা হয়নি তা হবে। আগামি ৫ বছরে এ এলাকার নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। 

জমিয়িতে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি বশির উল্লাহ বলেন, নারায়ণগঞ্জে একজন খেলোয়াড় ছিলেন, যিনি দলবল নিয়ে পালিয়েছেন। আমরা যাকে প্রার্থী দিয়েছি তিনি পালাবেন না৷ তিনি উন্নয়ন করবেন। 

মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, মনির কাসেমী যদি জিততে পারেন তাহলে এই অঞ্চলে সমস্যা থাকবে না। নাগরিক সমস্যা থাকবে না। 

কামাল উদ্দিন দায়েমী বলেন, আগামি নির্বাচনে আমরা সৎ এবং যোগ্য ব্যাক্তিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। তিনি নির্বাচিত হন তাহলে ফতুল্লার উন্নয়ন হবে।

যারা আগে গলা ফাঁটিয়ে বক্তব্য দিয়েছিল, খেলা হবে বলেছিল তারা পালিয়ে গেছে। আসল খেলা আমরা মনির কাসেমীকে নিয়ে খেলতে চাই। তিনি নির্বাচিত হলে আগামি ৫ বছরে ২০ বছরের কাজ হবে। 

মুফতি হারুন বলেন, আমরা ইসলামিক দলগুলোর এমন কিছু প্রার্থী দেখি যারা রোজা আর পূজা এক পাল্লায় মাপে। তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। আমরা তেমন ইসলামিক দলের প্রার্থী কে দেখতে চাই না। আমরা কালোকে কালো আর সাদা কে সাদা বলতে চাই।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরের নবীগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বাবুলের উঠান বৈঠক 
  • নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রতিদ্বন্ধী বিএনপি, অন্যদের একক প্রার্থী
  • মুসুল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটাচ্ছেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম
  • বন্দরের নবীগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বাবুল’র উঠান বৈঠক 
  • সোনারগাঁয়ে হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার
  • আওয়ামী লীগ দেশের রাষ্ট্র কাঠমোকে ধ্বংস করে দিয়েছে : সাখাওয়াত
  • ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
  • অর্থ আত্মসাতের মামলায় হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার
  • ইসলাম হতে হবে মদীনার ইসলাম, সেটা জামায়াতে ইসলাম না : মনির হোসাইন কাসেমী