পদ্মার চরে সারা বছরই থাকে পাখিদের আনাগোনা। উম্মে খাদিজা আর ইমরুল কায়েসেরও প্রিয় জায়গা এই চরাঞ্চল। অন্য অনেক আলোকচিত্রীর চেয়ে তাঁদের সুবিধাও আছে, বাসাটা রাজশাহী শহরে হওয়ায় মন চাইলেই ক্যামেরা কাঁধে চলে যান। গত বছর ১ এপ্রিলেও তা-ই করেছিলেন। বেশ কিছু পাখির ছবিও তুললেন দুজন। একটি পাখির ছবি তোলার পর নিশ্চিত হতে পারছিলেন না, কী পাখি। বাসায় ফিরেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছে ছবি পাঠালেন। তাঁদের কাছ থেকে জানতে পারলেন, এই পাখি বাংলাদেশে অত্যন্ত বিরল। নাম গ্রে ফ্যালারোপ বা ধূসর ফ্যালারোপ। রেড ফ্যালারোপ বা লাল ফ্যালারোপও বলে। তাঁদের আগে দেশে একবার পাখিটি দেখা গেছে। তারপর বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছাপা হলো বিরল সেই পাখির ছবি।

বিরল পাখি গ্রে ফ্যালারোপ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, আরোহীদের সবাই নিহত

মস্কোর পূর্বে একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়া এ তথ্য জানায়। এর আগে রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, উড়োজাহাজটিতে সাতজন আরোহী ছিলেন।

রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট চলাকালে আইভানোভো অঞ্চলের ইভানকোভো গ্রামের কাছে একটি এএন-২২ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে। উড়োজাহাজটির সব ক্রু নিহত হয়েছেন।

উড়োজাহাজে কতজন ছিলেন, তা বলা হয়নি। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাস আগেই জানিয়েছিল, বিমানে সাতজন ক্রু ছিলেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্লাইটটি মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার পর উড্ডয়ন করেছিল। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্লাইটটি মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার পর উড্ডয়ন করেছিল। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আইভানোভো অঞ্চল মস্কো থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) পূর্বে অবস্থিত। ঘটনাটি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত বা এর সঙ্গে কিয়েভ জড়িত—এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

কোমারসান্ত দৈনিক জানিয়েছে, উড়োজাহাজের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এ তথ্যের সূত্রের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

আইভানোভো অঞ্চল মস্কো থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) পূর্বে অবস্থিত। ঘটনাটি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত বা এর সঙ্গে কিয়েভ জড়িত—এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

রাশিয়ার প্রায় চার বছরের ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে সামরিক পরিবহন ও সরঞ্জাম–সম্পর্কিত দুর্ঘটনা ক্রমেই বেড়েছে। দেশে সামরিক সরবরাহ ও কার্যক্রম বাড়ার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ