আড়াইহাজারে হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি
Published: 25th, October 2025 GMT
আড়াইহাজারের সাতগ্রাম ইউনিয়নের রসুলপুরে হামলায় বাতেন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলাটি তুলে নিতে মামলার বাদীসহ তার পুরো পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় বাদী শাহজান আড়াইহাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করেছেন।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে তার বাবা মোঃ আব্দুল বাতেন (৭৫), ছোট ভাই আজিজুল (২৭) এবং ভাগিনা মুছাকে (২৫) গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার সময় মোঃ রেজাউল করিম (৩৫)সহ ২৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন ব্যক্তি সমাজের ওয়াজ মাহফিল ও মাদক নিয়ে পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে পথরোধ করে মারপিট ও হত্যার চেষ্টা চালায়।
এতে আমার বাবা বাতেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রেজাইলসহ ২৩ জনের নামের একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। এই ঘটনায় কোন আসামী গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
মোঃ শাহজাহান অভিযোগ করেছেন, মামলার পর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। বসতভিটায় ইট-পাথর নিক্ষেপসহ আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এতে আমার পুরা পরিবার আতংকিত হয়ে পড়েছি। আমরা অনেকে বর্তমানে বাড়ী ছাড়া থাকতে হচ্ছে। আমরা আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
তিনি ঘটনাটি সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শনিবার আড়াইহাজার থানায় আবেদন করেছেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, হুমকির ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত করা হবে। তবে সাধারণ ডায়েরীটি রেকর্ড হয়নি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ম মল ন র য়ণগঞ জ কর ছ ন ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
তফসিলের পরদিন ‘প্রার্থী’ গুলিবিদ্ধ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকায় দিনের বেলায় গুলি করা হলো ভোটে সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে (৩৩)। তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন এবং বেশ কিছুদিন ধরে প্রচার চালাচ্ছিলেন। হাদি ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের আহ্বায়ক।
গুলি করার পর আহত হাদিকে রিকশায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুলি তাঁর মাথায় লেগেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাতে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। তবে নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
দুর্বৃত্তদের গুলিতে ওসমান হাদির গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে গতকাল জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
হাদির বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করার পর বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন তিনি। পাশাপাশি সক্রিয় ছিলেন বিভিন্ন আন্দোলনে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখার পর ইনকিলাব মঞ্চ গঠন করে আলোচনায় আসেন হাদি। সাংস্কৃতিক এই প্ল্যাটফর্ম তাদের লক্ষ্য ঠিক করে, ‘সমস্ত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ’। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও ভারতবিরোধী বক্তব্য হাদিকে আলোচনায় আনে। ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙার সময় হাদি সক্রিয় ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলা ভেঙে দিতে বলেছিলেন।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা, নির্বাচনী তহবিলের হিসাব প্রকাশ এবং তাঁর ওপর ময়লা পানি নিক্ষেপের ঘটনায় ‘অসুবিধা নেই’ উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্ট দিয়েও আলোচনায় আসেন হাদি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল জুমার নামাজের পর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে একটি ব্যাটারির রিকশায় ছিলেন হাদি ও তাঁর সঙ্গী এক ব্যক্তি। তাঁদের পেছনে পেছনে আসে একটি মোটরসাইকেল। বেলা ২টা ২৪ মিনিটে চলন্ত অবস্থায় সেই মোটরসাইকেল থেকেই একাধিক গুলি করা হয় হাদিকে।
ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ব্যক্তি। দ্রুত ঘটনা ঘটিয়ে তাঁরা ওই মোটরসাইকেলে সেখান থেকে চলে যান