১১ বছর আগের রাজনৈতিক মামলায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক শাহ আলম সরকারকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা সদরের রাজমতি সুপার মার্কেট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় শাহ আলম এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। তিনি উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চকরহিমাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক ভোরের কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি এবং গোবিন্দগঞ্জ রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি।

পুলিশ জানায়, ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নেতা–কর্মীদের হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ১১ বছর পর চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়। মামলায় সাংবাদিক শাহ আলম ও আওয়ামী লীগের ২২১ জন নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০–৬০ জনকে আসামি করা হয়।

সাংবাদিক শাহ আলমের গ্রেপ্তারের ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাঁরা দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর মুক্তি দাবি করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ব ন দগঞ জ শ হ আলম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি ঋণে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির বিধি শিথিল

মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির বিধি শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদন ছাড়াই সরাসরি তিন বছরের জন্য বিদেশি ঋণ নিয়ে প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানি করা যাবে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নতুন এই নিয়মে শিল্প খাতের আমদানি প্রক্রিয়া বেশ সহজ হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

নির্দেশনা অনুযায়ী, বিডার বৈদেশিক ঋণ কমিটির এক সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতেই এই শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতদিন শিল্প উদ্যোক্তারা শুধু নতুন যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এই দীর্ঘমেয়াদি ক্রেডিট সুবিধা পেতেন। নতুন নিয়মে জাহাজ, সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের মূলধনী পন্য তিন বছর মেয়াদে কিস্তিতে আমদানি করা যাবে। বিদেশি সরবরাহকারী বা ব্যাংক থেকেই এই ঋণ সুবিধা নেওয়া যাবে।

শিল্প উদ্যোক্তারা এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, এতে আমদানির জটিল প্রক্রিয়া অনেক কমে যাবে। ব্যবসায়ীরা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় মূলধনী পণ্য সময়মতো সংগ্রহ করতে পারবেন, যা উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের শিল্প ও উৎপাদন খাতের গতিশীলতা বাড়াবে এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও নতুন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ