চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ১
Published: 25th, October 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিংড়ি জোনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৩৭)। তিনি সওদাগরঘোনা এলাকার ওমর আলীর ছেলে। স্থানীয়ভাবে তিনি নেজাম বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চকরিয়ার চিংড়ি জোনে জাহাঙ্গীর আলমের সশস্ত্র বাহিনীর একচ্ছত্র দাপট ছিল। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর চিংড়িঘের থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে তাঁর বাহিনীর নেজাম উদ্দিনের বিরোধ দেখা দেয়। পরে নেজাম উদ্দিন আলাদা বাহিনী গড়ে তোলেন। এর পর থেকে তাঁর বাহিনী সওদাগরঘোনা ও রামপুর এলাকার কিছু চিংড়িঘের থেকে চাঁদা তোলা শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সওদাগরঘোনা চারা বটতলী এলাকায় আজ শনিবার সকাল থেকে দুই বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা তিনটার দিকে নেজাম বাহিনীর সদস্য সিরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। বিকেল পাঁচটার দিকে চকরিয়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। গোলাগুলির ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তবে তাঁদের নাম–পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চকর য়
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান
দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।
সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প