কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিংড়ি জোনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৩৭)। তিনি সওদাগরঘোনা এলাকার ওমর আলীর ছেলে। স্থানীয়ভাবে তিনি নেজাম বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চকরিয়ার চিংড়ি জোনে জাহাঙ্গীর আলমের সশস্ত্র বাহিনীর একচ্ছত্র দাপট ছিল। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর চিংড়িঘের থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে তাঁর বাহিনীর নেজাম উদ্দিনের বিরোধ দেখা দেয়। পরে নেজাম উদ্দিন আলাদা বাহিনী গড়ে তোলেন। এর পর থেকে তাঁর বাহিনী সওদাগরঘোনা ও রামপুর এলাকার কিছু চিংড়িঘের থেকে চাঁদা তোলা শুরু করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সওদাগরঘোনা চারা বটতলী এলাকায় আজ শনিবার সকাল থেকে দুই বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা তিনটার দিকে নেজাম বাহিনীর সদস্য সিরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। বিকেল পাঁচটার দিকে চকরিয়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। গোলাগুলির ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তবে তাঁদের নাম–পরিচয় পাওয়া যায়নি।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

ইয়াসিন মিয়া বলেন, চিংড়ি জোনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। লাশটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চকর য়

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি ঋণে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির বিধি শিথিল

মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির বিধি শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদন ছাড়াই সরাসরি তিন বছরের জন্য বিদেশি ঋণ নিয়ে প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানি করা যাবে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নতুন এই নিয়মে শিল্প খাতের আমদানি প্রক্রিয়া বেশ সহজ হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

নির্দেশনা অনুযায়ী, বিডার বৈদেশিক ঋণ কমিটির এক সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতেই এই শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতদিন শিল্প উদ্যোক্তারা শুধু নতুন যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এই দীর্ঘমেয়াদি ক্রেডিট সুবিধা পেতেন। নতুন নিয়মে জাহাজ, সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের মূলধনী পন্য তিন বছর মেয়াদে কিস্তিতে আমদানি করা যাবে। বিদেশি সরবরাহকারী বা ব্যাংক থেকেই এই ঋণ সুবিধা নেওয়া যাবে।

শিল্প উদ্যোক্তারা এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, এতে আমদানির জটিল প্রক্রিয়া অনেক কমে যাবে। ব্যবসায়ীরা সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় মূলধনী পণ্য সময়মতো সংগ্রহ করতে পারবেন, যা উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের শিল্প ও উৎপাদন খাতের গতিশীলতা বাড়াবে এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও নতুন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ