সেন্ট মার্টিন দখলকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিয়েছি: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
Published: 25th, October 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিন রক্ষা ও পলিথিন বিরোধী নানা উদ্যোগের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘সেন্ট মার্টিন দখলকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিয়েছি। পলিথিনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। এখন তো সুপার মার্কেটে আপনি আর পলিথিন পাবেন না।’
শনিবার দুপুরে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদী পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ‘নদী ও পরিবেশকর্মীদের মিলনমেলা’ নামের একটি আয়োজনের অংশ হিসেবে তিনি শীতলক্ষ্যা নদী ও সেখানকার ধাঁধার চর পরিদর্শন করেন।
নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা শহরের চারটা নদী নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে যে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করে ফেলেছি, আশা করি তা ডিসেম্বরে পাস হয়ে যাবে।’
পরিবেশদূষণের বিষয়ে সবার দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমাদের নজরদারির পাশাপাশি শিল্পমালিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। কেবল শিল্পদূষণ বললে তো হবে না। আমরা তো এখনো পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারি নাই, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারি নাই। এসব ব্যবস্থাপনা যখন একসঙ্গে কাজ করবে, তখনই আপনি কেবল নদীগুলোকে বাঁচাতে পারবেন।’
পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশবাদীদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে সরকারের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পরিবেশবাদীরা যাঁরা কাজগুলো করছে, আমাকে তাঁরা সাহায্য করছে। তাঁদের যেভাবে পারি আমি সাহায্য করে যাব আমার বর্তমান দায়িত্ব থেকে। একজন আরেকজনের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকার সুইডেন দূতাবাসের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান, ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মার্টিনেস বেক্সস্ট্রম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সোলায়মান হায়দার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির এবং বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে ফিরতে রাজি হয়েছে, জানালেন ট্রাম্প
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প একে একে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। শুক্রবার এসব ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ দুটির অবস্থান জানান ট্রাম্প।
আরও পড়ুননিজেদের ভূখণ্ড থেকে কম্বোডিয়ার বাহিনীকে সরিয়ে দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে থাইল্যান্ড০৯ ডিসেম্বর ২০২৫নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, ‘তাঁরা (থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী) আজ সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন। মালয়েশিয়ার দুর্দান্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় প্রস্তুত করা যে শান্তি চুক্তিতে আমার এবং তাঁদের দুজনের সই রয়েছে, সেটায় ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।’
সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশ দুটির বিরোধপূর্ণ সীমান্তের দুপাশে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে গত জুলাইয়ে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ ও মালয়েশিয়ার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়। থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তাদের বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুনকম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাতে থাই সেনা নিহত, পাল্টা বিমান হামলা থাইল্যান্ডের০৮ ডিসেম্বর ২০২৫অক্টোবরে আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নিতে ট্রাম্প মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যান। তখন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে সই হয়। চুক্তিতে সই করেন দেশ দুটির প্রধানমন্ত্রীরা। সই করেন ট্রাম্পও।
থাইল্যান্ড গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থগিত করে। সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর ব্যাংককের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
আরও পড়ুনথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া কেন সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে, সমাধান কোন পথে ২৬ জুলাই ২০২৫