নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোটে অংশ নিতে হবে—এমন বিধানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। তারা জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশ্লিষ্ট ধারা আগের মতো রাখার দাবি জানিয়েছে।

আজ রোববার সকালে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়। বৈঠক শেষে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো.

ইসমাঈল জবিউল্লাহ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হয় গত বৃহস্পতিবার। এটি এখন রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষায়।

আরপিওর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে বলা হয়েছে, জোট করলেও ভোট করতে হবে দলীয় প্রতীকে।

ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘বিএনপি এই সংশোধনের সঙ্গে একমত নয়। এই সংশোধনী বা পরিবর্তন বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ সংশোধনী থেকে সরে এসে আরপিওর আগের বিধান বহাল রাখার অনুরোধ জানিয়ে আমরা সিইসির কাছে আনুষ্ঠানিক পত্র দিয়েছি।’

ইতিমধ্যে বিভিন্ন দল নিজেদের বিবেচনায় জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছে, নিজেদের দলের বা জোটভুক্ত অন্য কোনো দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করেছে বলে উল্লেখ করেন ইসমাইল জবিউল্লাহ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। অতীতে এ নিয়ে কোনো জটিলতা, সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। কোনো দলের পক্ষ থেকে এ বিধান সংশোধনের দাবি এসেছে বলেও তাঁদের জানা নেই।

ইসমাইল জবিউল্লাহ উল্লেখ করেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিমত চাওয়া হয়। বিএনপি আরপিওর বিভিন্ন অনুচ্ছেদে সংশোধন প্রস্তাবে মতপ্রকাশ করতে গিয়ে বলে, আরপিওর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদ, অর্থাৎ দল বা জোটের প্রতীক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিবর্তনের প্রস্তাবের সঙ্গে তারা একমত পোষণ করে না। বিষয়টি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশন, ঐকমত্য কমিশন ও সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইসমাইল জবিউল্লাহ আরও বলেন, এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের উচ্চপর্যায়ে, উপদেষ্টাপর্যায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের আলোচনাকালে আরপিওর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন চ ছ দ ব এনপ র দল র প আরপ ও

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে ফিরতে রাজি হয়েছে, জানালেন ট্রাম্প

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন। 

ট্রাম্প একে একে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। শুক্রবার এসব ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ দুটির অবস্থান জানান ট্রাম্প। 

আরও পড়ুননিজেদের ভূখণ্ড থেকে কম্বোডিয়ার বাহিনীকে সরিয়ে দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে থাইল্যান্ড০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, ‘তাঁরা (থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী) আজ সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন। মালয়েশিয়ার দুর্দান্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় প্রস্তুত করা যে শান্তি চুক্তিতে আমার এবং তাঁদের দুজনের সই রয়েছে, সেটায় ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।’ 

সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশ দুটির বিরোধপূর্ণ সীমান্তের দুপাশে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। 

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে গত জুলাইয়ে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ ও মালয়েশিয়ার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়। থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তাদের বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। 

আরও পড়ুনকম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাতে থাই সেনা নিহত, পাল্টা বিমান হামলা থাইল্যান্ডের০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

অক্টোবরে আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নিতে ট্রাম্প মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যান। তখন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে সই হয়। চুক্তিতে সই করেন দেশ দুটির প্রধানমন্ত্রীরা। সই করেন ট্রাম্পও। 

থাইল্যান্ড গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থগিত করে। সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর ব্যাংককের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। 

আরও পড়ুনথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া কেন সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে, সমাধান কোন পথে ২৬ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ