ভাবি আসমা বেগমের সঙ্গে বেলা ১১টার দিকে কথা হয় আবুল কালাম আজাদের (৩৬)। বলেছিলেন, ‘‘অল্প কিছু কাজ আছে। শেষ করে কয়েক দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরব। দেখা করব সবার সঙ্গে।’’ কিন্তু, সেই ফেরা আর হলো না তার।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটে এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ খবরে নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

আবুল কালাম আজাদ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী এলাকার মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদ স্ত্রী আইরিন, ছেলে আব্দুল্লাহ ও মেয়ে সুরাইয়াকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাঠানতলি এলাকায় বসবাস করতেন। চাকরি করতেন ঢাকায় একটি বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্সিতে। রবিবার দুপুরে ব্যক্তিগত কাজে ঢাকার ফার্মগেট এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের বেয়ারিং প্যাড খুলে তার উপর পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আবুল কালাম আজাদের ভাবি আসমা আক্তার বলেন, ‘‘বেলা ১১টার দিকে ফোনে আমার সঙ্গে কথা হয়। বাড়ি আসতে বললে বলেছিল, শিগগিরই বাড়ি ফিরে সবার সঙ্গে দেখা করব। কিন্তু, এর কয়েক ঘণ্টা পরই জানতে পারি, আমার ভাইয়ের ওপর মেট্রোরেলের বেয়ারিং প্যাড পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। সেই সঙ্গে তার সন্তান ও স্ত্রী যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে সরকার সেই ব্যবস্থা করে দিক।’’

নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার বলেন, ‘‘আবুল কালাম খুব ভালো ছেলে ছিল। ছোট থেকে পরিশ্রম করে সংসারের হাল ধরেছিল। ওর এমন মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো না। সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছি, তার পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই সামান্য টাকা দিয়ে কী তার পরিবার চলতে পারবে?’’

এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘‘আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। বিষয়টি দুঃখজনক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’

ঢাকা/আকাশ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র পর ব র ন হত র

এছাড়াও পড়ুন:

একেক বেলায় একেক রঙে ধরা দেয় কাপ্তাই হ্রদের পানি

২ / ১৩নীলাভ জলরাশি মুগ্ধ করে যে কাউকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ