রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ নিয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিনিধিদের শপথ পড়ান উপাচার্য ও রাকসুর সভাপতি অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব এবং হল সংসদের প্রতিনিধিদের শপথ পড়ান সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষরা।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের আসন গ্রহণ শেষে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী যোবায়ের। পরে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথবাক্য পাঠ করেন। শপথ পাঠ শেষে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম নির্বাচিতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে ধারাবাহিকভাবে ১৭টি হলের প্রতিনিধিদের শপথ পড়ানো হয়।

শপথ অনুষ্ঠানে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আবদুল হান্নান। তিনি বলেন, বহুল প্রতীক্ষিত রাকসু নির্বাচন দীর্ঘ ৩৫ বছর পরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। সফলভাবে সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন আয়োজন করে কমিশন একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি আশাবাদী, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্য অঙ্গনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন সাবেক সমন্বয়ক ও ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার। এ ছাড়া রাকসুর ২৩টি পদের মধ্যে ২০টি পদে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আর ১৭টি হল সংসদ নির্বাচনের ২৫৫টি পদের মধ্যে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল ২৩৪টি পদে জয়লাভ করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ শপথ প

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ