কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে ঢাকায় তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল
Published: 26th, October 2025 GMT
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দলটি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক করেছে।
তুরস্কের ফার্স্ট ডিগ্রি চিফ সুপারিন্টেনডেন্ট ওইকুন ইলগুনের নেতৃত্বে থাকা দলটিতে অগ্নি তদন্ত ও বিমানবন্দর নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, অতিরিক্ত সচিব ড.
আলোচনায় কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল তদন্তে কারিগরি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বিশেষজ্ঞ দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘এই সহযোগিতা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে এবং তদন্ত কার্যক্রমে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’’
ঢাকা/এএএম/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত রস ক র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই–পরবর্তী সময়েও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের প্রাণ দিতে হয়েছে: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেছেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। কিন্তু জুলাই–পরবর্তী সময়েও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের প্রাণ দিতে হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে শাখা ছাত্রদলের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নাছির এ কথা বলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা হাসিবুল ইসলামের অকালমৃত্যু এবং জোবায়েদ হোসেনের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় নাছির উদ্দীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্যকে (শাহরিয়ার আলম সাম্য) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জোবায়েদকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়। পারভেজ (জাহিদুল ইসলাম পারভেজ) হত্যার পর প্রশাসন খুনিদের গ্রেপ্তার করতে গড়িমসি করেছিল। সাম্য হত্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজনীতি হয়েছে। যে পরিমাণ প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে হওয়ার কথা ছিল, সেটা দেখা যায়নি।
নাছির আরও বলেন, ‘জোবায়েদ হোসেন হত্যার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে, এখনো রেখে যাচ্ছে। হাসিবের মৃত্যুর পর এবং জোবায়েদ হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ভূমিকা রাখা হয়েছে, তার জন্য ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
আলোচনা সভায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের দলে কিছু বিপথগামী সদস্য আছে, সেটা স্বীকার করেই আমরা রাজনীতি করি। কিছু বিপথগামী ছাড়া ছাত্রদলের সবাই নৈতিক চরিত্রের অধিকারী।’
রাকিব বলেন, ‘স্বল্প সময়ে ছাত্রদলের পদধারী তিন নেতা—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্য, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পারভেজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জোবায়েদকে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের এমন মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ সাবিনা শরমীন, রেজিস্ট্রার শেখ গিয়াসউদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ্ উদদীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতা–কর্মীরা।