সাড়ে আট বছর ধরে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে জাতীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা চালানোর পর অবশেষে গতকাল আবারও নতুন একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ১৯ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করেছে।

নতুন কমিটি দেখে ক্ষুব্ধ অনেক সাবেক নারী ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক। তাঁদের অভিযোগ, ঘোষণায় হয়েছে অনিয়ম। প্রতিবাদ জানাতে আজ বিকেলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ছয়জন সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক। সেখান থেকে তাঁরা দাবি জানান—নতুন কমিটি দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।

প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত সাবেক ব্যাডমিন্টন তারকা ও সংগঠক কামরুন নাহার ডানার নেতৃত্বেই হয় সংবাদ সম্মেলনটি। ডানা বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গন পরিচালনা করবে ক্রীড়াবিদ আর ক্রীড়া সংগঠকেরা। সেখানে আইনজীবী বা অধ্যাপক কেন? আমাদের দেশে অনেক যোগ্য নারী ক্রীড়াবিদ আছেন, যাঁরা সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন। আমরা চাই ক্রীড়া উপদেষ্টা দ্রুত এই কমিটি পরিবর্তন করুন। যদি তাতেও সুরাহা না হয়, আমরা প্রধান উপদেষ্টার শরণাপন্ন হব।’

বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি গঠনে অনিয়ম হয়েছে দাবি করে আজ বিকেলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ছয়জন সাবেক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট ও স গঠক

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে ফিরতে রাজি হয়েছে, জানালেন ট্রাম্প

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন। 

ট্রাম্প একে একে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। শুক্রবার এসব ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ দুটির অবস্থান জানান ট্রাম্প। 

আরও পড়ুননিজেদের ভূখণ্ড থেকে কম্বোডিয়ার বাহিনীকে সরিয়ে দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে থাইল্যান্ড০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, ‘তাঁরা (থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী) আজ সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন। মালয়েশিয়ার দুর্দান্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় প্রস্তুত করা যে শান্তি চুক্তিতে আমার এবং তাঁদের দুজনের সই রয়েছে, সেটায় ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।’ 

সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশ দুটির বিরোধপূর্ণ সীমান্তের দুপাশে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। 

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে গত জুলাইয়ে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ ও মালয়েশিয়ার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়। থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তাদের বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। 

আরও পড়ুনকম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাতে থাই সেনা নিহত, পাল্টা বিমান হামলা থাইল্যান্ডের০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

অক্টোবরে আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নিতে ট্রাম্প মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যান। তখন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে সই হয়। চুক্তিতে সই করেন দেশ দুটির প্রধানমন্ত্রীরা। সই করেন ট্রাম্পও। 

থাইল্যান্ড গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থগিত করে। সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর ব্যাংককের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। 

আরও পড়ুনথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া কেন সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে, সমাধান কোন পথে ২৬ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ