কোন বিদেশী বাহিনী গাজায় প্রবেশ করবে তা ইসরায়েল নির্ধারণ করবে: নেতানিয়াহু
Published: 26th, October 2025 GMT
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার অধীনে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর অংশ হিসেবে কোন বিদেশী বাহিনীকে অনুমতি দেওয়া হবে তা ইসরায়েল নির্ধারণ করবে। রবিবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেছেন।
চলতি মাসে গাজায় ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ওই পরিকল্পনায় গাজায় শান্তিরক্ষায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। এই বাহিনীতে মিশর, ইন্দোনেশিয়া এবং উপসাগরীয় আরব দেশগুলো সেনা পাঠাতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল।
নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমাদের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে এবং আমরা আন্তর্জাতিক বাহিনী সম্পর্কে স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, কোন বাহিনী আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য তা ইসরায়েল নির্ধারণ করবে এবং আমরা এভাবেই কাজ করি ও কাজ চালিয়ে যাব।”
গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তিনি গাজা উপত্যকায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর যেকোনো ভূমিকার বিরোধিতা করবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গাজায় যে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তাতে এমন দেশ থাকতে হবে যাদের সাথে ইসরায়েল ‘স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।’
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পর্কোন্নয়নের ইঙ্গিত দিয়ে আবারও ভারত-চীন সরাসরি ফ্লাইট চালু
পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে আবারও সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। এটি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে একটি প্রতীকী পদক্ষেপ। দুই দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপ জরুরি।
ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সংস্থা ইন্ডিগো স্থানীয় সময় রাত ১০টায় কলকাতা থেকে গুয়াংঝুতে প্রথম দৈনিক ফ্লাইটটি পরিচালনা করে। ভারত ও হংকংয়ের মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট চলছে। আর রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে সাংহাই ও গুয়াংঝুর অতিরিক্ত ফ্লাইট নভেম্বর থেকে চালু হবে।
আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে বিশ্বের দুই জনবহুল দেশ ভারত ও চীন একে অপরের কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০২০ সালে দুই দেশের সেনাসদস্যদের মধ্যে প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে।
ভারত সরকার বলেছে, নতুন করে ফ্লাইট চলাচল শুরু হওয়ার বিষয়টি দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ভারত মস্কোর তেল কিনে রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে সাহায্য করছে। এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। আর এমন প্রেক্ষাপটে দিল্লি-বেইজিং সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে।
আরও পড়ুনভারত-চীন কাছাকাছি এলে যুক্তরাষ্ট্র কি এশিয়ায় ধাক্কা খাবে২৪ আগস্ট ২০২৫চীনের সঙ্গের ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর শহর কলকাতার সম্পর্কটা কয়েক শতাব্দী পুরোনো। অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই দুই পক্ষের সম্পর্ক আছে। ওই সময় চীনা ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করতে কলকাতায় যেতেন।
কলকাতার চায়না টাউন এলাকার সামাজিক সংগঠনের নেতা চেন খোই কুই বলেন, ‘আমাদের মতো যেসব মানুষের চীনে আত্মীয়স্বজন আছে, তাদের জন্য এটা দারুণ খবর। আকাশপথের এ যোগাযোগ দুই দেশের বাণিজ্য, পর্যটন ও ব্যবসায়িক ভ্রমণকে আরও এগিয়ে নেবে।’
আরও পড়ুনভারত কি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটছে১০ জুলাই ২০২৫