সেন্ট মার্টিনে কাঁটাযুক্ত পটকা মাছ কিসের ইঙ্গিত
Published: 27th, October 2025 GMT
বঙ্গোপসাগরের বুকে ৮ বর্গকিলোমিটারের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। এর দক্ষিণের বিচ্ছিন্ন আরেকটি দ্বীপ ছেঁড়াদিয়া। ১৭ অক্টোবর জোয়ারের সময় ছেঁড়াদিয়ার পশ্চিম সৈকতে আটকে পড়ে একটি মাছ। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান তখন ছেঁড়াদিয়ায় অবস্থান করছিলেন। দ্রুত কাছে গিয়ে দেখেন একটি বিরল প্রজাতির পটকা মাছ। সাধারণত এই এলাকায় তেমন চোখে পড়ে না এই মাছ। মাছটির শরীরজুড়ে কাঁটা। দ্বীপের অন্য এলাকার সাগরে দুই প্রজাতির পটকা দেখা গেলেও বিচিত্র রঙের সুন্দর পটকা মাছটি এর আগে দেখেননি তিনি। আর মাছটি দেখে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি। কারণ, এই প্রজাতির মাছের উপস্থিতি দ্বীপের প্রাণবৈচিত্র্য ফিরে আসার বড় লক্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো.
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের নেওয়া তিন বছরব্যাপী প্রকল্পের নাম ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রকল্প’। প্রকল্পের আওতায় দ্বীপের সৈকতে কেয়াবাগান সৃজন, পরিবেশ বিষয়ে লোকজনকে সচেতন করতে বালুচরে একাধিক বিলবোর্ড স্থাপন, সামুদ্রিক মা কাছিমের ডিম পাড়ার স্থান চিহ্নিতকরণ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে তথ্য সংগ্রহ এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজ চলছে। কামরুল হাসান ওই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি)।
প্রকল্প পরিচালক কামরুল হাসানের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ১৬ থেকে ১৮ অক্টোবর সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবস্থান করে দ্বীপের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এ সময় এই দলের সদস্যরা পুরো দ্বীপ এলাকা ঘুরে দেখেন। যাতায়াত নিষিদ্ধ এলাকা ছেঁড়াদিয়া, গোলদিয়া ও দিয়ারমাথাও পরিদর্শন করেন তাঁরা।
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের নেওয়া তিন বছরব্যাপী প্রকল্পের নাম ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রকল্প’। প্রকল্পের আওতায় দ্বীপের সৈকতে কেয়াবাগান সৃজন, পরিবেশ বিষয়ে লোকজনকে সচেতন করতে বালুচরে একাধিক বিলবোর্ড স্থাপন, সামুদ্রিক মা কাছিমের ডিম পাড়ার স্থান চিহ্নিতকরণ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে তথ্য সংগ্রহ এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজ চলছে। কামরুল হাসান ওই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি)।কামরুল হাসান বলেন, পরিদর্শনের সময় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পরিযায়ী পাখি, গাঙচিল, বালুচরে লাল কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকের বংশবিস্তারের দৃশ্য তিনি দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু ছেঁড়াদিয়া সৈকতের কাঁটাযুক্ত সুন্দর মাছটি তাঁকে হতবাক করেছে। এই জাতের মাছ একমাত্র সেন্ট মার্টিনের প্রবালপ্রাচীর, পাথুরে রিফ এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করে। এই মাছ শক্ত খোলসযুক্ত শামুক, কাঁকড়া ও মেরুদণ্ডী প্রাণী শিকার করে খায়। বড় কোনো মাছের সামনে পড়লে পটকা পানি বা বাতাস গিলে নিজের শরীরকে বেলুনের মতো ফুলিয়ে ঝুঁকি থেকে নিজেকে আত্মরক্ষা করে। শরীর ফুলে গেলে তীক্ষ্ণ কাঁটাগুলো বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে। এই মাছের উপস্থিতি দ্বীপের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের উপস্থিতির প্রমাণ।
প্রবাল সমৃদ্ধ উষ্ণজলে বসবাস করে কাঁটাযুক্ত পটকা মাছ। ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট ওমানের প্রবাল সমৃদ্ধ সমুদ্র উপকূল থেকে ছবিটি তুলেছেন আলোকচিত্রী ডিয়েগো ডেলসো।উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ বব চ ত র য র র উপস থ ত প রকল প র প রব ল পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ত্র কিংবা ছুরি নয়, ‘অভিনব’ কায়দায় ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
চট্টগ্রামে ‘অভিনব’ কায়দায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র কিংবা ছুরি নয়, যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারীরা বমির কথা বলে নির্জন জায়গায় গাড়ি থামিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আনিছুল ইসলাম আজ রোববার দুপুরে চান্দগাঁও থানায় মামলা করার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। আনিছুল ইসলাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট।
আনিছুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে প্রতিদিনের মতো নগরের চান্দগাঁও এলাকায় বাসায় যাওয়ার জন্য বহদ্দারহাট মোড়ে দাঁড়ান। ওই সময় গাড়িতে ওঠার জন্য লোকজনের ভিড় ছিল। ফলে বাসে উঠতে পারেননি। তখন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চান্দগাঁও সিঅ্যান্ডবি মোড় যাবে বলে যাত্রী ডাকতে থাকে। অটোরিকশার পেছনে দুজন এবং চালকও তাঁর পাশে এক যাত্রী ছিলেন। পেছনের আসনে ওঠেন আনিছুল ইসলাম।
অটোরিকশাটি বহদ্দারহাট মোড় থেকে বাস টার্মিনালের সামনে জিয়া কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছালে যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারীদের একজন বমি করবেন বলে জানান। ওই সময় চালক গাড়ি থামিয়ে ফেলেন কিছুটা নির্জন এলাকায়। বমির কথা বলা যাত্রী নামার জন্য আনিছুলসহ আরেক যাত্রী অটোরিকশা থেকে নামেন। তখনই আনিছুলের হাতে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত অটোরিকশা করে চলে যান তাঁরা।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’