গোপালগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের ৫৯ নেতার পদত্যাগ
Published: 27th, October 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ যুবলীগ নেতাদের পদ দেওয়ায় এবং বিভাগীয় উপকমিটির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের নবগঠিত কমিটির সভাপতিসহ ৫৯ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির জেলা শাখার সভাপতি মো.
আরো পড়ুন:
সংবাদ সম্মেলন করে দল ছাড়লেন আ.লীগ নেতা
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও
গতকাল রবিবার (২৬ অক্টোবর) আল আমিন সরদারসহ সদ্য গঠিত কমিটির ৫৯ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ই-মেইল পাঠান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) গোপালগঞ্জ জেলার নবঘোষিত কমিটি গঠনের পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সভাপতি আল-আমীন সরদার ও সাংগঠনিক কে এম নাজমুল ইসলামসহ মোট ৭৯ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির মধ্যে ৫৯ জন সদস্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পদত্যাগকারীদের অভিযোগ, নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় দলের মূলনীতি, যোগ্যতা ও মাঠপর্যায়ের ত্যাগ-তিতিক্ষা কোনোভাবে বিবেচনা করা হয়নি। অনেক পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীকে বঞ্চিত করে ব্যক্তি কেন্দ্রিক ও পক্ষপাতের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা গণঅধিকার পরিষদের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা সবসময় দলের প্রতি অনুগত থেকেছি, কিন্তু যে কমিটিতে আস্থা ও ন্যায়বিচার নেই— সেখানে থেকে কোনো দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। তাই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা সম্মিলিতভাবে আমাদের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। তবে আমরা গণঅধিকার পরিষদের মূল আদর্শ, নীতি ও গণমানুষের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
এ বিষয়ে সদ্য পদত্যাগকারী গণঅধিকার পরিষদের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো. আল আমিন সরদার বলেন, “সদ্য আমাদের জেলা কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যেখানে সাবেক যুবলীগ নেতা ও এনসিপি নেতাদের পদ দেওয়া হয়েছে। এতে কমিটিতে থাকা নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যার ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ কারণে আমিসহ কমিটির ৫৯ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “এখানে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি করেছে বিভাগীয় উপকমিটি। রবিবার আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির ইমেইলে সবাই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ গ প লগঞ জ পদত য গ র ন ত কর ম কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পাশাপাশি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। আজ বুধবার রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ অডিটরিয়ামে চলতি বছরের নভেম্বর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিএমপির বিভিন্ন থানায় সদ্য যোগ দেওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) উদ্দেশে কমিশনার বলেন, নতুন ওসিদের সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার অপরাধচিত্র ও পরিস্থিতি ভালো করে বুঝে নিতে হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অভ্যাসগত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মো. সরওয়ার বলেন, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিটি থানায় টহল কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। তিনি টহলকাজে সরকারি মোটরসাইকেলগুলো ব্যবহার করার তাগিদও দেন।
নতুন ডিসি (উপকমিশনার) এবং ওসিদের প্রতিটি থানা এলাকার অপরাধের নিজস্ব ধরন অনুযায়ী কাজ করতে বলেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলা নিষ্পত্তি ও ওয়ারেন্টের বিষয়ে কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে গৃহকর্মী নিয়োগে পরিচয়পত্র যাচাই এবং অপরিচিতদের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আসন্ন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
মাসিক অপরাধ সভায় নভেম্বর মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মাসুদ করিম, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এবং প্রকিউরমেন্ট) হাসান শওকত আলী, যুগ্ম কমিশনার, উপকমিশনার, ডিএমপির সব থানার ওসি ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।