জামালপুর সদর উপজেলার আদর্শ বটতলা এলাকায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় ইজিবাইকের চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শিশুসহ চার যাত্রী।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই এলাকার অর্থনৈতিক অঞ্চলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে বাস উল্টে যুবকের মৃত্যু, আহত ৫০

দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর স্মরণে জাবিতে সড়কের নামকরণ

নিহতরা হলেন—সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের নারায়নপুর এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে চাঁন মিয়া, সরিষাবাড়ি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকুর এলাকার হায়দার আলীর ছেলে রাশেদ মিয়া ও একই ইউনিয়নের উচ্চগ্রাম এলাকার শরিফ আহাম্মেদের স্ত্রী আরিফ খাতুন পলি এবং অজ্ঞাত এক নারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জামালপুর থেকে দিগপাইতগামী একটি কাভার্ড ভ্যান অর্থনৈতিক অঞ্চলের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা জামালপুরগামী একটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থনলেই মারা যান রাশেদ। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরো দুজন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অজ্ঞাত নারী।

আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেছেন চিকিৎসক। আহত শিশু আরশ নিহত আরিফা খাতুন পলির ছেলে বলে জানা গেছে।

জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরপরই কাভার্ডভ্যানটি আটক করেছেন স্থানীয়রা। তবে, পালিয়ে যান এর চালক ও হেলপার। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/শোভন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকাসোর আড়ালে থেকে যাওয়া চিত্রকর্ম বিক্রি হলো ৪৫৫ কোটি টাকায়

আট দশক ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা পাবলো পিকাসোর একটি চিত্রকর্ম ৩ কোটি ২০ লাখ ইউরোতে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪৫৫ কোটি টাকার বেশি (১ ইউরো সমান ১৪২ টাকা হিসেবে)।

এটি বিশ্ববরেণ্য স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী পিকাসোর দীর্ঘদিনের অনুপ্রেরণা ও সঙ্গী ডোরা মারকে নিয়ে আঁকা এক রঙিন প্রতিকৃতি।

চিত্রকর্মটি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। তবে এটি নিলামে বিক্রি হওয়া পিকাসোর সবচেয়ে দামি শিল্পকর্ম নয়।

‘বাস্ট অব আ উইমেন উইথ আ ফ্লাওয়ারড হ্যাট (ডোরা মার)’ ছবিটি আঁকা হয় ১৯৪৩ সালের জুলাই মাসে।

ডোরা মার নিজেও একজন শিল্পী ও আলোকচিত্রী ছিলেন। তিনি প্রায় সাত বছর ধরে পিকাসোর সঙ্গী ও অনুপ্রেরণা ছিলেন। পিকাসো যখন ছবিটি আঁকেন, তখন তাঁদের সম্পর্ক একটি বেদনাদায়ক পরিসমাপ্তির পথে যাচ্ছিল।

পিকাসোর সঙ্গে ডোরা মারের যখন পরিচয় হয়, তখন তাঁর বয়স ২৯ বছর। দ্রুতই এই তরুণী শিল্পীর প্রেমে পড়েন এবং তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

শিল্পকর্মটি ১৯৪৪ সালে বিক্রি হয়। এরপর এটিকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। চিত্রকর্মটি এত দিন একটি পারিবারিক সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত ছিল। চিত্রকর্মটি পিকাসোর ‘উইমেন ইন আ হ্যাট’ সিরিজের অংশ।

প্যারিসের একটি নিলাম হাউসে ছবিটি বিক্রি হয়। নিলামকক্ষে উপস্থিত এক ব্যক্তি সেটি কিনে নেন। চিত্রকর্মটি বিক্রির পর নিলামকারী ক্রিস্টোফ লুসিয়ঁ বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ সাফল্য।’

তাঁদের গল্প খুব সাধারণ ছিল না। আপনি চিত্রকর্মটির দিকে তাকালে তাঁর চোখে পানি দেখতে পাবেন। কারণ, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন পিকাসো তাঁকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

এ বছর এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া কোনো শিল্পকর্ম হচ্ছে এটি। লুসিয়ঁ চিত্রকর্মটিকে ‘ভালোবাসার গল্পের ছোট্ট একটি টুকরো’ বলে বর্ণনা করেন।

পিকাসোর সঙ্গে ডোরা মারের যখন পরিচয় হয়, তখন তাঁর বয়স ২৯ বছর। দ্রুতই এই তরুণী শিল্পীর প্রেমে পড়েন এবং তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরে আরেক তরুণী ফ্রাঁসোয়া জিলোর জন্য ডোরা মারকে ছেড়ে যান পিকাসো। পিকাসো ছেড়ে যাওয়ার পর ডোরা অন্তরালের জীবন বেছে নেন। তিনি ৮৯ বছর বয়সে মারা যান।

এটি এ বছর এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া কোনো শিল্পকর্ম।

লুসিয়ঁ বলেন, ‘তাঁদের গল্প খুব সাধারণ ছিল না। আপনি চিত্রকর্মটির দিকে তাকালে তাঁর চোখে পানি দেখতে পাবেন। কারণ, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, পিকাসো তাঁকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।’

নিলাম শুরুর আগে নিলামকারী লুসিয়ঁ বলেছিলেন, বিশ্বজুড়ে এই চিত্রকর্ম নিয়ে বিপুল আগ্রহ আছে।

আরও পড়ুনপিকাসোর চিত্রকর্ম ১ হাজার ৫২৯ কোটি টাকায় বিক্রি০৯ নভেম্বর ২০২৩

নিলামে বিক্রি হওয়া পিকাসোর সবচেয়ে দামি চিত্রকর্মটি হলো ‘লেস ফেমিস ডি’আলজার’ (উইমেন অব আলজিয়ার্স)। ২০১৫ সালে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টি ১৭ কোটি ৯৩ লাখ ডলারে ওই চিত্রকর্ম বিক্রি করেছিল।

১৯৩২ সালে পিকাসোর আঁকা ‘উইমেন উইথ আ ওয়াচ’ চিত্রকর্মটি ২০২৩ সালে নিলামে ১৩ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলারে (১ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা) বিক্রি হয়েছিল। এটি পিকাসোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া কোনো চিত্রকর্ম বলে জানিয়েছিল ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সদবি’স।

পিকাসো ১৮৮১ সালে স্পেনের মালাগায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বড় হয়েছেন বার্সেলোনায়। পরে পিকাসো ১৯০৪ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে যান। সেখানেই তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা চিত্রশিল্পী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেন।

আরও পড়ুনপিকাসোকে ছেড়ে গিয়েছিলেন যে প্রেমিকা ০৯ জুন ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ