দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এ ছাড়া বাকি একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি ও অপরজন বরিশাল বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে আজ সোমবার সকাল আটটার মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৯৮৩ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩৬০ জন। এ সময় দুই সিটির বাইরে ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭১। ঢাকার বাইরে বরিশাল বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল—১৪১। সব মিলিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত এ রোগ নিয়ে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৪১৪ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে। গত মাসে ডেঙ্গুতে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন। তবে চলতি অক্টোবর মাসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু ও সংক্রমণ আগের যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি। অক্টোবরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৮১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩টিতেই এ বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। ২০০০ সালে ঢাকায় বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মারা যান ৯৩ জন। ঘটনাটি সাধারণ মানুষের কাছে নতুন ছিল। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মারা যান ২০২৩ সালে। সে বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখের বেশি মানুষ। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জন র ম ত য হয় ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে কারখানার গ্যাস মিটার রুমে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পাঞ্চলের দুটি পোশাক কারখানার যৌথ ‘গ্যাস মিটার রুমে’ বিস্ফোরণের পর আগুনে অন্তত ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁরা বর্তমানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিসিকের এমএস ডাইং, প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড এবং ফেয়ার অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা ভবনের মাঝখানে অবস্থিত যৌথ মিটার রুমে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিসিক স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল হালিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন আল-আমিন (৩০), মো. আজিজুল্লাহ (৩২), মো. সেলিম (৩৫), মো. জালাল মোল্লা (৪০), মো. নাজমুল হুদা (৩৫) ও নূর মোহাম্মদ (৩৫)।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বেলা ১১টার দিকে দগ্ধ ছয়জনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। নাজমুল হুদার শরীরের ২৮ শতাংশ, জালাল মোল্লার ১৪ শতাংশ, আজিজুল্লাহর ৯ শতাংশ, সেলিমের ১০ শতাংশ, আল-আমিনের ১৭ শতাংশ এবং নূর মোহাম্মদের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে নাজমুল ও আল-আমিনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
দগ্ধ শ্রমিক মো. সেলিম বলেন, ‘সকালে কারখানার নিচতলায় তিতাস গ্যাসের মিটার কক্ষে কাজ করার সময় গ্যাসলাইনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমরা ছয়জন দগ্ধ হই। পরে কারখানার অন্য শ্রমিকেরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।’
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এমএস ডাই অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড নামে একটি কারখানায় সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা শুনেছি। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছুই জানায়নি। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’