বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবিতে অনশনে শিক্ষার্থী
Published: 27th, October 2025 GMT
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে অনশন শুরু করেছেন এক শিক্ষার্থী। গত দুইদিন ধরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তিনি এ কর্মসূচি পালন করছেন।
তিনি হলেন, কলেজে ইতিহাস বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ফেরদৌস রুমি।
আরো পড়ুন:
বরিশালে ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু
বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ফেরদৌস রুমি বলেন, “৩২ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখর বিএম কলেজ। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ২৪ বছর ধরে কলেজটিতে নির্বাচন হচ্ছে না। ছাত্র সংসদ না থাকায় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখতে পারছে না বাকসু।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের দাবিতে ১ মাসের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করছে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছি। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করা পর্যন্ত এ অনশন চলবে।”
এ ব্যাপারে সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড.
গত ২৩ অক্টোবর বাকসু নির্বাচনের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের দুইটি ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিএম কলেজের ছাত্র সংসদ শুধু নেতৃত্ব নয়, এটি ছিল শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের অন্যতম মাধ্যম। অথচ দীর্ঘ ২ যুগ ধরে প্রশাসন নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
ঢাকা/পলাশ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশনরত রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৫ শিক্ষ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন পাঁচ শিক্ষার্থী।
টানা ২১ ঘণ্টা ধরে অনশন থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারা। এর মধ্যে, গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বাকসু অকার্যকর থাকায় সাঁটানো হলো ‘সেন্ট্রাল ভাতের হোটেল’ লেখা ব্যানার
টিউশনিতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার জবি ছাত্রী, অভিযুক্ত পলাতক
এর আগে, টানা চারদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্যালাইন দেওয়া হয়। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব এসে তাদের খোঁজ নেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তাদের।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা বলছেন প্রশাসন শুধু আমাদের আশ্বাসই দিচ্ছে, কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ তারা নিচ্ছে না।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. সুমন আলী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইকরা, হুমাইরা, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ইমন ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাদিক।
এ সময় শিক্ষার্থী রাইসুল আহমেদ বলেন, “আমাদের এক দফা দাবি ছিল, বহিরাগত সভাপতির অপসারণ। আমরা চাই, বিভাগ থেকেই বিভাগের সভাপতি করতে হবে। গতকাল প্রশাসনের সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু তারা বহিরাগত চেয়ারম্যানকে বহাল রাখতে চায়। এজন্য গতকাল থেকে আমরা অনশনে বসেছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের কয়েকজন অনশনরত অবস্থা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।”
২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাত জামান বলেন, “আমরা গতকাল প্রশাসনের সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো আশ্বাস দেয়নি, আরো সময় চেয়েছেন। তারা আমাদের বলেছে বর্তমান সভাপতি সঙ্গে নিগোশিয়েট করে তাকে মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা তাকে চাই না। যেহেতু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না, তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত অনশন চলবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “একটা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব সব বিভাগ যেন ভালোভাবে চলে, সেটা দেখা। সেটার জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা সমাধান বের করার চেষ্টা করছি। একটা সমাধান বের হবে দ্রুতই। এখন এই কাজগুলো করতে গেলে যে সময়টুকু লাগে, সেটা তো আমাদের দিতে হবে।”
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে এক আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। তবে কোনো রকম আশ্বাস না পাওয়ায় তারা আমরণ অনশনে বসেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের রাইসুল মাহমুদ।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী