কুষ্টিয়ায় আগুনে পুড়ে ছাই ১৩ দোকান, কোটি টাকার ক্ষতি
Published: 27th, October 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার খালবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩টি দোকান পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন:
মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাদক কারবারির বাড়িতে আগুন
মিরপুরের কেমিকেল গুদামে আগুন: ১২ দিন পর কিশোরীর অঙ্গার দেহ উদ্ধার
খালবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসমুল হোসেন বলেন, ‘‘একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে তা আশপাশের আরো কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’’
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ইন্দ্র প্রসাদ বলেন, ‘‘স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তবে, এর আগেই বেশ কয়েকটি দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করে বলা যাবে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তানজিমের আক্ষেপ, ‘যদি একজন ব্যাটসম্যানও দাঁড়িয়ে যেত’
তানজিম হাসানের কণ্ঠে আফসোস, ‘ম্যাচটা যদি শেষ করে আসতে পারতাম...’। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম ছেড়ে যাওয়ার সময় এমন একটা আক্ষেপ হয়তো বাংলাদেশের সব সমর্থকদের ভেতরেই—কোনো একজন ব্যাটসম্যান যদি ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারতেন! ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও যে শেষ দুই ওভারে জয়ের সমীকরণটা নেমে এসেছিল ৩০ রানে।
চট্টগ্রামে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যা খুব কঠিন কাজও ছিল না। কিন্তু তখন হাতে উইকেট ছিল আর একটি। তবুও সম্ভাবনাটা ছিল শেষ পর্যন্ত। তাসকিন আহমেদের হিট আউট হওয়া বলটাও তো রশির ওপর দিয়ে চলে গিয়েছিল সীমানার ওপারে। তিনি আউট না হলে সমীকরণটা নেমে আসত ২ বলে ১১ রানে। কে জানে, তখন কী হতো!
বাংলাদেশের জন্য কাজটা আসলে কঠিন করে দিয়ে গিয়েছিলেন ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা। সেটি ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন তানজিম হাসানও, ‘আপনি যদি দেখেন, শেষের দিকে শিশির থাতায় বল অনেক সহজে ব্যাটে আসছিল। আমার কাছে মনে হয়, যদি একটা সেট ব্যাটসম্যান থাকত, তাহলে খেলাটা সহজ হয়ে যেত। কারণ, শেষ দুই ওভারে ৩০ রান লাগত, একটা ব্যাটসম্যান থাকলে সব সময় এই ম্যাচ হাতের মধ্যে থাকে।’
বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা এত দূর নিয়ে এসেছে আসলে তানজিম হাসানের সঙ্গে নাসুম আহমেদের জুটি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৩ বলে দুজন মিলে করেছেন ৪০ রান। তবে ম্যাচটা কাছাকাছি আনার তৃপ্তি নয়, ২৭ বলে ৩৩ রান করা তানজিমের কণ্ঠে শোনা গেল না জেতাতে পারার আফসোস। কাল তিনি বলেছেন, ‘আসলে শেষ করতে পারলে খুব ভালো লাগত। কারণ, আমি পুরো সেট ছিলাম, বল অনেক ভালো ব্যাটে লাগছিল। নাসুম ভাইও আমাকে ভালো সাপোর্ট দিচ্ছিলেন, বাউন্ডারি মারছিলেন। মনে হচ্ছিল আমি একটা ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ব্যাটিং করছি।’