এক দিনের ব্যবধানে দেশে সোনার দাম ভরিতে আরও সাড়ে তিন হাজার টাকা কমেছে। এতে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা। নতুন দর আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ সোমবার সোনার দাম কমানোর এ ঘোষণা দিয়েছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার সোনার দাম ভরিপ্রতি এক হাজার টাকা কমিয়েছিল বাজুস।

চলতি মাসে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১০ বার সোনার দাম সমন্বয় করেছে জুয়েলার্স সমিতি। প্রথম সাতবারই দাম বেড়েছে। এর মধ্যে ৭ অক্টোবর সোনার ভরিপ্রতি দাম দুই লাখ টাকার মাইলফলকে পৌঁছায়। ২০ অক্টোবর ২২ ক্যারেটের সোনার দাম বেড়ে হয় ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বাজুসের নতুন দর অনুযায়ী, আগামীকাল থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকায়।

আজ সোমবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ২ লাখ ৭ হাজার ৯৫৭ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭০ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৯৬ টাকায়। সেই হিসাবে আগামীকাল থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনায় ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটে ২ হাজার ৯৯৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনায় ভরিতে ২ হাজার ৫৫৪ টাকা দাম কমবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ণিল আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন

‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে র‍্যালি, চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সোমবার সকালে শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় ও ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এরপর শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম ২০২৫’ শীর্ষক একটি চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর সেই পদক্ষেপের ফলেই আজ আমরা এখানে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি। গত এক বছরে আমাদের অর্জন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন শিক্ষার্থীসংশ্লিষ্ট বাজেট ছিল খুবই সীমিত। এখন আমরা সেই বাজেট উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে পেরেছি।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা একাডেমিক মানোন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাব। নিয়মিত ক্লাস মনিটরিং–ব্যবস্থা চালু থাকবে ও ফলাফল প্রকাশে যেন কোনো বিলম্ব না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের গবেষণায় শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহকারী হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা হাতে-কলমে গবেষণার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’

‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ