দেশের রাস্তায় যেসব গাড়ি চলে তার অধিকাংশ গাড়ি ‘টয়োটা’ ব্র্যান্ডের। জাপানি এই গাড়ি নির্মাতা ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম। তাই চাহিদা বেশি। তবে রাস্তায় টয়োটার এসইউভি ধরনের গাড়ি ‘করোলা ক্রস’ মডেলের দেখা মিলছে। হাইব্রিড ইঞ্জিন হওয়ায় এই গাড়ির জ্বালানি খরচ কম। তাই বিক্রি ভালো এই মডেলের গাড়ির। গাড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে টয়োটা ব্র্যান্ডের ‘এলিয়ন’ ও ‘প্রিমিও’ মডেলের সেডান গাড়ির প্রতি সবার বেশ ঝোঁক।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনা–ইনুর অডিওতে স্পষ্ট বলা আছে, কারফিউ হবে কিন্তু গুলি হবে না: আইনজীবী মনসুরুল

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর অডিও কথোপকথনে স্পষ্ট ‘কারফিউ হবে কিন্তু গুলি হবে না’ বলা আছে বলে উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ইনুর এই আইনজীবী এ কথা বলেন।

জাসদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) সভাপতি ইনুর বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা একটি মামলা চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ। সেই মামলায় ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তিনি আজকে এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ থেকে ইনুর অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।

অব্যাহতির আবেদনের সময় ট্রাইব্যুনালে যেসব কথা বলেছেন, তা পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে জানান আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘হাসানুল হক ইনুর সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (সাবেক) শেখ হাসিনার যে টেলিফোনিক কনভারসেশন সেখান থেকে আমি উদ্ধৃতি করে দেখিয়েছি যে, উনাদের কনভারসেশনে স্পষ্টত উনারা বলেছেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য আহ্বান করতে হবে। যাতে আন্দোলন বেগবান না হয়, সে জন্য কারফিউ জারি করে, যাতে করে মানুষ আনরুলি (অবাধ্য) না হয় এবং সহিংস কোনো ঘটনা না ঘটাতে পারে, সে জন্য ইনু শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছেন।’

মনসুরুল হক বলেন, ‘এবং শেখ হাসিনাও বলেছেন যে কারফিউ হবে, কিন্তু কোনো গুলি হবে না। স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। এবং বলেছেন, কেউ যদি কোনো ভায়োলেন্ট অ্যাক্ট করে তাকে অ্যারেস্ট করা হবে, থানায় নিয়ে যাওয়া হবে, টেলিভিশনে প্রচার করা হবে যে তাকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরে থানায় রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ অবস্থায় এই কনভারসেশন থেকে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে, আওয়ামী লীগ সরকারসহ ১৪ দল সাধারণ জনগণের আন্দোলন দমন করার জন্য কোনো অন্যায়ের আশ্রয় গ্রহণ করেন নাই। ট্রাইব্যুনাল আমাদের কথা শুনেছেন।’

রাষ্ট্রপক্ষ ইনুর বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ এনেছে বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, একটি সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি (শীর্ষ নেতৃত্বের দায়) এবং অন্যটি কমপ্লিসিটি (সম্পৃক্ততা)। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি প্রমাণ করার এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত ইনুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করতে পারেনি। কমপ্লিসিটি বা সম্পৃক্ততার ব্যাপারেও তথ্য-উপাত্ত আনতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে ২৩ অক্টোবর এ মামলায় ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। আগামী ২ নভেম্বর এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ