আজ ২৮ অক্টোবর অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের জন্মদিন। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের অনুভূতির কথা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন নানা বিষয়ে তাঁর উপলদ্ধির কথা।
‘আজ আমার ৪২তম জন্মদিন। পেছনে তাকালে মনে হয়—অভিযাত্রাটা কত সুন্দর ছিল।’ এমন লাইন দিয়ে পোস্ট শুরু করেছেন বাঁধন। এরপর তিনি লিখেছেন, ‘৪০–এর পর থেকেই জীবন যেন কঠিন পরীক্ষা নিতে শুরু করল। একটি কষ্টদায়ক সম্পর্কের ইতি, তারপর জুলাই বিদ্রোহের পর দেশের পরিস্থিতির টানাপোড়েন—সবকিছু মিলিয়ে ভয়ংকর এক হতাশা গ্রাস করল আমাকে। মানসিক অসুস্থতা ছিল ঠিকই, কিন্তু এই দুটো ঘটনা সেই অন্ধকারকে আরও গাঢ় করে তুলেছিল।’

এই সময়ে বাঁধনের ওজন বেড়ে যায় ১৭ কেজি। তখন তাঁর মনে হতো, ‘সব শেষ। আর কিছুই বাকি নেই। নিজের শরীরেই যেন বন্দী হয়ে গিয়েছিলাম। হাঁটুব্যথা, পিঠে টান, প্রতিদিন ভর করে থাকা বিষণ্নতা.

..অনেক দিন শুধু ছাদের দিকে তাকিয়ে কাটিয়েছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা।’

আজমেরী হক বাঁধন। অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ