রংপুরের মোবারক হত্যা মামলার আসামি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার
Published: 28th, October 2025 GMT
রংপুরের বিশ্বনাথ এলাকার আলোচিত মোবারক আলী হত্যা মামলার আসামি মইনুল ইসলাম ওরফে মমিনুলকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ দল।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক আ ম ফারুক।
গ্রেপ্তার মো. মইনুল ইসলাম ওরফে মমিনুল বিশ্বনাথ এলাকার কোমল বৈরাগীর ছেলে।
র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক আ ম ফারুক জানিয়েছেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবারক আলীর পথরোধ করে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মইনুল ইসলাম। জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মোবারককে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। পরে মোবারক আলীর লাশ রান্নাঘরের পেছনে গর্ত করে পুঁতে রেখে এর ওপর গাছের চারা রোপণ করা হয়, যাতে কেউ বুঝতে না পারেন। পরিবারের সদস্যরা মোবারক আলীকে খুঁজে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে মইনুলের বাড়ির পাশের গর্তের সেই আলগা মাটি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। মইনুল আত্মগোপনে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, পরে নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব-১৩ ছায়া তদন্ত শুরু করে জানতে পারে যে, মইনুল ইসলাম কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন করেছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১৩ ও র্যাব-১৫ এর যৌথ দল ২৭ অক্টোবর সোমবার দুপুরে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এর মধুরছড়া ব্লক-ই/২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
ঢাকা/তারেকুর/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মইন ল ইসল ম য ব ১৫
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ সুরমায় বিএনপির গণসমাবেশ, কাইয়ুম চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণার দাবি
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চণ্ডীপুল এলাকায় গণসমাবেশ করেছে স্থানীয় বিএনপি। সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীকে সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান নেতা–কর্মীরা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার এবং ধানের শীষ প্রতীকের জনসম্পৃক্ততা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
কর্মসূচিতে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। সমাবেশে বক্তারা আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীকে সিলেট-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে যুবদলে এবং এখন বিএনপির রাজনীতি করছেন কাইয়ুম চৌধুরী। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি অসংখ্য মামলা ও দমন-পীড়নের শিকার হয়েও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি আহত হন। তাঁর মতো পরীক্ষিত রাজনীতিবিদকে তৃণমূলের কর্মীরা দলের প্রার্থী হিসেবে চান।
সমাবেশে আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণকে ভয় দেখিয়ে বা কৌশলের আশ্রয়ে রাজনীতি করতে চায়, এমন শক্তির বিরুদ্ধে বিএনপি দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। যারা ছলচাতুরির মাধ্যমে জনগণকে ঠকাতে চায়, তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় আমরা ভেঙে দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আন্দোলনের ও মাঠের কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি, যদি দল আমাকে আগামী নির্বাচনে এ অঞ্চল থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে, তাহলে সিলেট–৩ আসনের সকল নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে আমার পক্ষে কাজ করবেন।’ পরে তিনি উপস্থিত নেতা–কর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে থাকার শপথ পাঠ করান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি বদরুল ইসলাম জয়দু। জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান সুয়েব, নিজাম উদ্দিন তরফদার, নুরুল আমিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসান আহমদ পাটোয়ারী, মামুনুর রশিদ, আনোয়ার হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান সুফি চৌধুরী প্রমুখ।