রংপুরের বিশ্বনাথ এলাকার আলোচিত মোবারক আলী হত্যা মামলার আসামি মইনুল ইসলাম ওরফে মমিনুলকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫ ও র‍্যাব-১৩ এর যৌথ দল।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক আ ম ফারুক। 

গ্রেপ্তার মো. মইনুল ইসলাম ওরফে মমিনুল বিশ্বনাথ এলাকার কোমল বৈরাগীর ছেলে।

র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক আ ম ফারুক জানিয়েছেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবারক আলীর পথরোধ করে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মইনুল ইসলাম। জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মোবারককে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। পরে মোবারক আলীর লাশ রান্নাঘরের পেছনে গর্ত করে পুঁতে রেখে এর ওপর গাছের চারা রোপণ করা হয়, যাতে কেউ বুঝতে না পারেন। পরিবারের সদস্যরা মোবারক আলীকে খুঁজে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে মইনুলের বাড়ির পাশের গর্তের সেই আলগা মাটি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। মইনুল আত্মগোপনে চলে যায়।

তিনি আরো জানান, পরে নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। র‍্যাব-১৩ ছায়া তদন্ত শুরু করে জানতে পারে যে, মইনুল ইসলাম কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন করেছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত করে র‍্যাব-১৩ ও র‍্যাব-১৫ এর যৌথ দল ২৭ অক্টোবর সোমবার দুপুরে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এর মধুরছড়া ব্লক-ই/২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের ওই কর্মকর্তা।

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মইন ল ইসল ম য ব ১৫

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ