ঢাবিতে সংবিধান প্রণয়ন বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
Published: 28th, October 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের আয়োজনে ‘কনস্টিটিউশন মেকিং অ্যান্ড আনমেকিং’ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা।
আরো পড়ুন:
ঢাবির জহুরুল হক হলে ধূমপান করলে ৩০০ টাকা জরিমানা
ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ওএসডি
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থা আইডিইএ এর সংবিধান প্রণয়ন প্রোগ্রামের প্রধান সুমিত বিসারিয়া।
অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, “একটি দেশের সংবিধান কেবল একটি আইনগত দলিল নয়, এটি জাতির আত্মার প্রতিফলন। সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় জনগণের মতামত, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন থাকা আবশ্যক।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমান বিশ্বের জটিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংবিধান পরিবর্তন বা পুনর্গঠন প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল একটি বিষয়। তাই একাডেমিক পরিসরে এ নিয়ে গবেষণা ও আলোচনার পরিধি আরো বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন।”
প্রধান বক্তা সুমিত বিসারিয়া বলেন, “সংবিধান প্রণয়ন শুধু একটি আইনি প্রক্রিয়া নয়; এটি রাজনৈতিক দরকষাকষি ও সামাজিক চুক্তি। বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া একটি টেকসই ও গ্রহণযোগ্য সংবিধান প্রণয়নের মূল চাবিকাঠি।”
এ সময় তিনি বাংলাদেশে আইন শিক্ষার অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং তরুণ প্রজন্মকে সংবিধান ও গণতন্ত্র বিষয়ে আরো গবেষণামূলক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা সংবিধান প্রণয়ন ও সংস্কারের তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক দিক নিয়ে মুক্ত আলোচনা করেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ধ ন প রণয়ন প রক র য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতির দাবিতে ২১ দফা প্রস্তাব
কক্সবাজারে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ২১ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো— নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্যকর করা।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন। সঞ্চালনায় ছিলেন মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। সভায় সহ-সভাপতি একেএম মহসিন, সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, সাংবাদিকদের জন্য দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণ, সাগর-রুনি হত্যাসহ সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার, গণমাধ্যমবিরোধী আইন বাতিল ও পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন এখন সময়ের দাবি।
বক্তারা বলেন, দেশের গণমাধ্যম খাতে ৫০টিরও বেশি আইন, বিধি ও নীতিমালা থাকলেও এখনো কোনো সমন্বিত জাতীয় গণমাধ্যম নীতিমালা নেই। একটি পূর্ণাঙ্গ ও অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করলে তা বাস্তবায়ন সহজ হবে।
সভায় আরো জানানো হয়, সংবাদপত্রে ২৭.৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স আরোপ গণমাধ্যম শিল্পকে সংকটে ফেলছে। এই হার কমিয়ে পোশাক খাতের মতো ১৫ শতাংশে আনার আহ্বান জানানো হয়।
বিএফইউজে নেতারা জোর দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা টেকসই হবে না।
ঢাকা/এএএম/ইভা