ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, কিয়েভ শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু মস্কোর দাবি অনুযায়ী, কোনো অঞ্চল থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করবে না।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া বা তার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের ভূখণ্ড ব্যতীত অন্য কোথাও শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জানতে পেরে তিনি খুশি।

যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ইউক্রেনকে আরো অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার দাবিসহ মস্কো দাবিতে অটল থাকার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে চলতি মাসে বুদাপেস্টে শীর্ষ সম্মেলনের পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। ট্রাম্প বর্তমান যুদ্ধলাইনে ইউক্রেনের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে সমর্থন করেছেন। 

জেলেনস্কি বলেছেন, “এটা একেবারে স্পষ্ট যে, আমরা বর্তমানে যে অবস্থানে আছি সেখান থেকেই কূটনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা কোনো পদক্ষেপ পিছিয়ে নেব না এবং আমাদের দেশের এক বা অন্য অংশ ছাড় দিব না।”

তিনি বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হল যে আমেরিকান পক্ষ অবশেষে এ ব্যাপারে প্রকাশ্য সংকেত দিয়েছে:  প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন একটি বার্তা নিয়ে এসেছেন।”

জেলেনস্কি জানান, তিনি হাঙ্গেরিসহ অন্যান্য দেশে আলোচনায় যোগ দিতে পেরে খুশি, যদিও প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের কিছু অবস্থান নিয়ে আপত্তি রয়েছে।

তিনি বলেছেন, “যদি ফলাফল আসে, তাহলে ঈশ্বর আশীর্বাদ করুন - আলোচনা যেকোনো জায়গায় হোক, এটা প্রায় কোনো ব্যাপার না। তবে শুধু রাশিয়ায় নয়, অবশ্যই এবং অবশ্যই বেলারুশেও নয়।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাবির সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উচ্চতর গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নকে লক্ষ্য করে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪৩তম সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

আরো পড়ুন:

হিজাব নিয়ে মন্তব্য: রাবি অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি

সুইমিংপুলে মৃত্যু: কুষ্টিয়ায় রাবি শিক্ষার্থী সায়মার অশ্রুসিক্ত বিদায়

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রকল্পটি ২০২৬–২৭ অর্থবছর থেকে শুরু করে পরবর্তী ৩ বছরে বাস্তবায়িত হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি নতুন ছাত্র হল ও তিনটি নতুন ছাত্রী হল নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি শেরে বাংলা ফজলুল হক হল, চিকিৎসা কেন্দ্র, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, জুবেরী হাউসসহ একাধিক একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আধুনিক ইনোভেশন হাব নির্মাণ এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।

প্রস্তাব অনুযায়ী, এসব অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত ৭ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি উচ্চতর গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্রহ সম্পন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, “আমরা অনেকগুলা হল, অ্যাকাডেমিক ভবন, গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় কাজগুলো এভাবেই হয়। প্রথমে পরিকল্পনা সাজিয়ে পাঠানোর পর সরকার অনুমোদন করলে কাজ শুরু করতে হয়।”

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো ডিপিপির কাছে দিয়েছি একনেকে পাশ করানোর জন্য। একনেকে এটা হুবহু অথবা সংশোধিত আকারে পাশ হতে পারে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ