ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে পাল্টা প্রশ্ন না করায় ‘অবাক হয়েছেন’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 28th, October 2025 GMT
সম্প্রতি ভারত সফর করে আসা বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা নিয়ে কোনো পাল্টা প্রশ্ন না করায় ‘অবাক’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
প্রশ্নোত্তরের সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে এক সাংবাদিক বলেন, সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়েছিল ডিকাবের (ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ) একটি প্রতিনিধিদল। সে সময় ভারতের পররাষ্ট্রসচিব জানান, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আইনি দিক তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন। এ বিষয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তো আইনি দিক যেটুকু আছে, সেটুকু আমরা পালন করেছি। আদালতের নির্দেশেই আমরা শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছি। আইনি বিষয়গুলো ভারত দেখতে থাকুক। ভারত কোনো জবাব দেয়নি এখন পর্যন্ত। তারা তাদের দিক থেকে দেখতে থাকুক।’
আরও পড়ুনবাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি০৬ অক্টোবর ২০২৫এ প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘তবে আপনারা যাঁরা গিয়েছিলেন (ভারত সফরে), তাঁদের বিষয়ে আমার একটা পর্যবেক্ষণ আছে। যেহেতু আপনি প্রশ্নটি তুললেন, কাজেই আমি বলছি। না হলে হয়তো বলতাম না। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আপনাদের মুখে একটি প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। আপনারা সে প্রশ্নটি করেননি কেউ। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেছিলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ট্রান্সপারেন্ট ইত্যাদি নির্বাচন তাঁরা চান। আপনার.
চলতি মাসের শুরুর দিকে নয়াদিল্লি সফর করেন বাংলাদেশি একদল সাংবাদিক। তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছিলেন, বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় নয়াদিল্লি। তিনি আরও বলেছিলেন, নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের রায় নিয়ে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তাদের সঙ্গে কাজ করবে ভারত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট আপন দ র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে ফিরতে রাজি হয়েছে, জানালেন ট্রাম্প
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প একে একে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। শুক্রবার এসব ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ দুটির অবস্থান জানান ট্রাম্প।
আরও পড়ুননিজেদের ভূখণ্ড থেকে কম্বোডিয়ার বাহিনীকে সরিয়ে দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে থাইল্যান্ড০৯ ডিসেম্বর ২০২৫নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, ‘তাঁরা (থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী) আজ সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন। মালয়েশিয়ার দুর্দান্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় প্রস্তুত করা যে শান্তি চুক্তিতে আমার এবং তাঁদের দুজনের সই রয়েছে, সেটায় ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।’
সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশ দুটির বিরোধপূর্ণ সীমান্তের দুপাশে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে গত জুলাইয়ে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ ও মালয়েশিয়ার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়। থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তাদের বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুনকম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাতে থাই সেনা নিহত, পাল্টা বিমান হামলা থাইল্যান্ডের০৮ ডিসেম্বর ২০২৫অক্টোবরে আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নিতে ট্রাম্প মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যান। তখন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে সই হয়। চুক্তিতে সই করেন দেশ দুটির প্রধানমন্ত্রীরা। সই করেন ট্রাম্পও।
থাইল্যান্ড গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থগিত করে। সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর ব্যাংককের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
আরও পড়ুনথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া কেন সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে, সমাধান কোন পথে ২৬ জুলাই ২০২৫