বন্দরে অপহরণ মামলায় সাবেক ছাত্রনেতা আপেল গ্রেপ্তার
Published: 28th, October 2025 GMT
বন্দরে স্কুলছাত্রীকে অপহরন মামলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসান মারুফ ওরফে আপেল (২৮)কে গ্রেপ্তার করেছে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ।
ধৃত অপহরণকারি সাবেক ছাত্র নেতা মাহমুদুল হাসান মারুফ ওরফে আপেল বন্দর থানার ২৭ নং ওয়ার্ডের ফুলহর এলাকার আশরাফ উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
ধৃতকে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১৮(১০)২৫ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে বন্দর থানার মদনপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, বন্দরে ২৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আপেল মারুফের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোর পূর্বক বিয়ে করতে চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে শারীরিক ভাবে নির্যাতনসহ তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল পরিবারকে ব্লাক মেইলিংয়ের চেষ্টা করছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ম মল ন র য়ণগঞ জ অপহরণ
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে বিমানবন্দরে নেমেই উড়ালসড়কে অপহরণের শিকার প্রবাসী
হাসপাতালে শয্যাশায়ী অসুস্থ বাবাকে দেখার জন্য ছেলে ইমরান মুন্না ছুটে আসেন আরব আমিরাতের দুবাই থেকে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে নেমে বাড়ির উদ্দেশে ওঠেন সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। অটোরিকশাটি পতেঙ্গা উড়াল সড়কে ওঠার পর অস্ত্রের মুখে মুন্না ও তাঁর এক আত্মীয়কে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল এই ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে, তবে অপহরণকারী ব্যক্তিদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সুলতান মোহাম্মদ আহসান উদ্দিন রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল পতেঙ্গা হলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় উদ্ধার হন। সেখানে মামলা করার কথা বললে অপহরণের শিকার ইমরান রাজি হননি, তবে তাঁকে বুঝিয়ে মামলা করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর ইসলাম রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ইমরান মুন্নার গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী নজুমিয়াহাট এলাকায়। বিমানবন্দরে নেমে তিনি গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। সঙ্গে ছিলেন সুলাইমান নামের তাঁর এক আত্মীয়। তাঁদের বহনকারী অটোরিকশা শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়কে ওঠার পর একটি প্রাইভেট কার এসে গতি রোধ করে। এরপর দেশি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁদের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো এলাকার একটি পরিত্যক্ত কটন মিলের ভেতরে নিয়ে যায়।
অপহরণের বিষয়টি গোপনসূত্রে জানতে পারে পতেঙ্গা থানা–পুলিশ। পরে বায়েজিদসহ বিভিন্ন থানায় বিষয়টি জানায় তারা। এরপর খবর পেয়ে বায়েজিদ থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দূর থেকে দেখে অপহরণকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয় প্রবাসী মুন্নাকে। পরে তাঁর আত্মীয় সুলাইমানকেও পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় প্রবাসীর লাগেজও।
অভিযানে থাকা বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই মোহাম্মদ মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, দুই ভুক্তভোগী ও অটোরিকশাচালকের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত থানায় বোঝানো হয়। কিন্তু তাঁরা কিছুতে মামলা করতে রাজি হচ্ছেন না।
প্রবাসী ইমরান মুন্নার মুঠোফোনে রাতে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।