বন্দরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম করলো জাপা দোসররা
Published: 28th, October 2025 GMT
বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদ মাহমুদ(৬০)কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে জাতীয় পার্টির নেতা মনোয়ার ও তার বাহিনী। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ বাজারে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
জাতীয় পার্টির নেতা মনোয়ার ও লাভলীর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেন তাওলাদ মাহমুদ। সভা শেষে লাঙ্গলবন্দ বাজারে যাওয়ার পথে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাওলাদ মাহমুদের অভিযোগ। তাওলাদ মাহমুদ বন্দর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলে তিনি দাবি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাঙ্গলবন্দ বাজার এলাকায় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল বিএনপি নেতা তাওলাদ মাহমুদ। এসময় স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাওলাদ মাহমুদকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এঘটনায় ইকবাল হোসেন (৪৫), মনোয়ার মেম্বার (৩৮), লাভলী মেম্বার (৩৫), আমান উল্লাহ (৪৫), বাহা উদ্দিন (৪৩), লাকি (৩২) নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি লিয়াকত আলী জানান, বিএনপি নেতা তাওলাদ মাহমুদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ মন য় র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
রিকশার গ্যারেজে তৈরি হচ্ছিল নকল ‘ডেটল’ সাবান
বাইরে থেকে দেখতে রিকশার গ্যারেজ। তবে এর আড়ালে সেখানে চলছিল নকল সাবান তৈরির কাজ। রাত হলেই সেখানে ডেটল, সলিড, লিফোর্ডসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের ছাঁচ ও মোড়ক নকল করে এসব সাবান তৈরি হতো। আজ রোববার দুপুরে অভিযান চালিয়ে নকল সাবান তৈরির কারখানাটি সিলগালা করে নকল সাবান জব্দ করা হয়।
আজ দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ইউনুছ মার্কেট এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক আবদুর রহিম। অভিযানে র্যাব-৭–এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব জানায়, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে একটি কারখানায় অবৈধভাবে সাবান উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল। কারখানাটি ইউনিয়ন পরিষদের একটি ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করলেও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন বা মান নিয়ন্ত্রণ সনদ ছিল না। সেখানে ডেটল সাবান তৈরির ছাঁচ ও মোড়ক পাওয়া গেছে। হুবহু নকল এসব মোড়কে ভুল তথ্য দিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হতো। কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।
র্যাব-৭–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রিকশার গ্যারেজের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি এখানে নকল সাবান তৈরি করছে; এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র্যাব-৭। এসব নকল সাবানে বিভিন্ন নামী কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছিল। এসব সাবানে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর কোনো অনুমোদন নেই।