জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি টাকায় পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা
Published: 28th, October 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কেবল টাকায় পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। অর্থ দিয়ে নদীভাঙন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস কাটিয়ে ওঠা কিংবা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা যায় না। এ জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনায় পরিবেশ ও জলবায়ুঝুঁকিকে কেন্দ্রীয়ভাবে বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘রোড টু বেলেম কপ-৩০ : পিপল লেড পলিসি-বাংলাদেশ পজিশন @ কপ-৩০-’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জলবায়ু খাতে অর্থায়নে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে, এ কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো যদি জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অবদান বাড়াতে না পারে, তাহলে আমাদের মতো জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বাঁচার পথ রুদ্ধ হবে। জলবায়ু ন্যায্যতার প্রশ্নে বাংলাদেশকে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘আমরা যদি এখনই আমাদের উন্নয়ন দর্শন ও সিদ্ধান্তে জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তখন আর মানবিক বা টেকসই থাকবে না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের উচিত শুধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া নয়, বরং মাঠপর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। বালু উত্তোলন বন্ধ করা, নদী রক্ষা করা, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরিবেশের পক্ষে কাজ করে নেতৃত্বের প্রমাণ দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল হান্নান খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহরাব আলী, পরিচালক মির্জা শওকত আলী, সি৩ইআরের সহকারী পরিচালক রউফা খানম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট পর ব শ জলব য়
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে ফিরতে রাজি হয়েছে, জানালেন ট্রাম্প
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্প একে একে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। শুক্রবার এসব ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ দুটির অবস্থান জানান ট্রাম্প।
আরও পড়ুননিজেদের ভূখণ্ড থেকে কম্বোডিয়ার বাহিনীকে সরিয়ে দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে থাইল্যান্ড০৯ ডিসেম্বর ২০২৫নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, ‘তাঁরা (থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী) আজ সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন। মালয়েশিয়ার দুর্দান্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় প্রস্তুত করা যে শান্তি চুক্তিতে আমার এবং তাঁদের দুজনের সই রয়েছে, সেটায় ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।’
সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশ দুটির বিরোধপূর্ণ সীমান্তের দুপাশে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে গত জুলাইয়ে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ ও মালয়েশিয়ার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়। থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তাদের বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুনকম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাতে থাই সেনা নিহত, পাল্টা বিমান হামলা থাইল্যান্ডের০৮ ডিসেম্বর ২০২৫অক্টোবরে আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নিতে ট্রাম্প মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যান। তখন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে সই হয়। চুক্তিতে সই করেন দেশ দুটির প্রধানমন্ত্রীরা। সই করেন ট্রাম্পও।
থাইল্যান্ড গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থগিত করে। সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর ব্যাংককের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
আরও পড়ুনথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া কেন সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে, সমাধান কোন পথে ২৬ জুলাই ২০২৫