বরগুনায় ইঁদুর মারার ফাঁদে শিশুর মৃত্যু
Published: 29th, October 2025 GMT
বরগুনার তালতলীর ধান ক্ষেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে ইমরান (৮) নামে এক শিশু মারা গেছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড়ভাইজোড়া এলাকায় মারা যায় সে।
মারা যাওয়া ইমরান একই গ্রামের রিপা বেগমের ছেলে। সে হরিণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরো পড়ুন:
রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
দুই শিশু সন্তান নিয়ে অথৈ সাগরে প্রিয়া
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় কৃষক আবু সালেহ ইঁদুর মারার জন্য মসজিদ থেকে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক লাইন টেনে ক্ষেতে ফাঁদ পেতে রাখেন। ফাঁদে কোনো সতর্কবার্তা বা চিহ্ন দেওয়া ছিল না।আজ সকালে মায়ের সঙ্গে ধান ক্ষেতে দিয়ে যাওয়ার সময় পেতে রাখা ফাঁদের সংস্পর্শে আসলে ইমরান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ইমরানের মা রিপা বেগম বলেন, “আমি বুঝতেই পারিনি, ওখানে বিদ্যুৎ ছিল। ফাঁদে জড়িয়ে আমার ছেলেটা চোখের সামনে নিথর হয়ে গেল।”
তালতলী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মো.
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা শাপলা আদায় করে নেব: সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “আমরা মনে করি, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া-পাওয়া শুধুমাত্র নির্বাচন কেন্দ্রিক হতে পারে না। আমরাও চাই, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উত্তোরণের জন্য নির্বাচন হোক, ফেব্রুয়ারিতে হলেও এনসিপির সমস্যা নেই।”
তিনি বলেন, “অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারী আচরণ এনসিপি এবং এই তরুণ প্রজন্ম মেনে নেবে না। আইনগত বাধা না থাকা সত্ত্বেও এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিতে নানা তালবাহানা করা হচ্ছে। বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণ দেখানো হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলেছি, যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই, আমরা আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রতীক হিসেবে শাপলাকে এনসিপির জন্য চাই এবং শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব। আমরা আমাদের জয়গা থেকে শাপলা আদায় করে নেব।”
আরো পড়ুন:
নতুন করে কেউ স্বেচ্ছাচারিতা করবে, এটা হবে না: সারজিস
বগুড়ায় সারজিসের অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এনপিসিপির সাংগঠনিক সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, “আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করিনি। কারণ, যেই জুলাই সনদের এখন পর্যন্ত আইনগত ভিত্তি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়, যেই জুলাই সনদে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কারগুলোতো নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া রয়েছে সেগুলোর ভবিষ্যত কী হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিশ্চিত না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন দিতে পারে না। গণভোটে জুলাই সনদ পাস হয়ে গেলে, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে সরকার বাধ্য থাকবে কি না, প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দিকে যাবে কি না, এই বিষয়গুলো নিশ্চয়তা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এনসিপি তাদের জায়গায় জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে পারে না। এনসিপি সেটা করেনি, এনসিপি নিজেদের মেরুদণ্ড সোজা রেখেছে।”
টাঙ্গাইল জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলটির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার। এ সময় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ