বাংলাদেশি ৭ জেলেকে ধরে নিল আরকান আর্মি
Published: 29th, October 2025 GMT
মিয়ানমারের জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে একটি বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারসহ সাতজন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরো পড়ুন:
উখিয়া সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি, রোহিঙ্গা যুবক গুলিবিদ্ধ
মিয়ানমারে সমাবেশে সেনাবাহিনীর প্যারাগ্লাইড বোমা হামলা, নিহত ২৪
তিনি জানান, টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাওনের মালিকানাধীন একটি ট্রলার সাগরে মাছ শিকার শেষে ঘাটে ফেরার পথে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হাতে আটক হয়। ট্রলারটিতে সাতজন জেলে ছিলেন।
মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করে। টহল চলাকালে আরাকান রাজ্যের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ ধরতে থাকা বাংলাদেশি ট্রলারগুলো শনাক্ত করা হয়।
সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে মংডু টাউনশিপের একরাজা গ্রাম উপকূল থেকে প্রায় ২ দশমিক ১৪ কিলোমিটার পশ্চিমে একটি কাঠের মাছ ধরার ট্রলারসহ সাতজন জেলেকে আটক করা হয়। ট্রলার থেকে তিনটি মাছ ধরার জাল ও প্রায় ২৬০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ হয়েছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত আরাকান আর্মি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা ফেরত দিয়েছিল।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক আর ক ন আর ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’
‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।
সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।
রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী