Risingbd:
2025-12-14@12:17:18 GMT

বিয়ারিং প্যাড কী, কেন খুলে পড়ে?

Published: 29th, October 2025 GMT

বিয়ারিং প্যাড কী, কেন খুলে পড়ে?

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়া বেশ বিরল ঘটনা। কিন্তু বাংলাদেশে এই ঘটনা একবছরে দুইবার ঘটেছে। সম্প্রতি রাজধানীর ফার্মগেট অংশে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকে বিয়ারিং প্যাড নিয়ে আলোচনা চলছে।

বিয়ারিং প্যাড কী—তা বুঝতে হলে আগে আরও দুইটি শব্দের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার দরকার। মেট্রোরেলের যে পথ সেটিকে বলা হয় ‘ভায়াডাক্ট’। এই ভায়াডাক্ট যে স্তম্ভের ওপরে বসানো হয় সেটিকে বলা হয় ‘পিলার’। এই ভায়াডাক্ট এবং পিলার দুটির কংক্রিটের তৈরি। দুইটি কংক্রিটের বস্তু যখন একটি আরেকটির ওপর বসানো হয় তখন ঘরষণজনিত সমস্যা হতে পারে। হতে পারে ক্ষয় এবং হতে পারে স্থানচ্যুতিও। এই সব  সমস্যা এড়ানোর মাধ্যম হলো বিয়ারিং প্যাড। 

আরো পড়ুন:

অনাথ আশ্রমে একটি বেদনা বেলা (শেষ পর্ব)

পাঁচটি উপকরণ দিয়ে তৈরি করা যায় ‘দোসা’

বিয়ারিং প্যাড হচ্ছে বিছানার ম্যাট্রেসের মতো। এর রাবার ও স্পাতের মিশ্রণে তৈরি হয়।  এটি নাটবল্টু বা অন্য কোনো কিছু দিয়েই আটকানো থাকে না।  পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগ স্থলে একটা বেইজ থাকে, সেখানে দুই পাশের চাপে এটি আটকে থাকে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন দুই কারণে এটি হয়ে থাকতে পারে

এক.

 নকশাগত কোনো ত্রুটি থাকতে পারে। 
দুই. প্রকল্প পরবর্তী যে ক্যালেন্ডার মেইন্টেন্যান্স ঠিকভাবে করা হয়নি 

একই জায়গাটিতে দুইবার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার ব্যাপারটি নিয়ে বলা হযেছে, সেই জায়গাটিতে বড় একটি বাঁক রয়েছে। এ ছাড়া সেই স্থানটি অন্য স্থানটির চেয়ে একটু উঁচুও। তাই এটিকে নকশাগত ত্রুটি হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

সূত্র: বিবিসি

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ